• ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্লু-লাইনেও সিগন্যাল ব্যবস্থা বদল মেট্রোর
    এই সময় | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • এই সময়: যাত্রীদের প্রবল ভিড় সামলাতে দু’টি ট্রেনের মাঝের সময় কমিয়ে আনাই পথ। কলকাতা মেট্রোর ব্লু–লাইন নিয়ে এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু বর্তমানে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত সময়ে ছ’মিনিট অন্তর একটি করে রেক চালায়। ছ’মিনিটের গ্যাপটা দু’মিনিট করা গেলে সুবিধা। কিন্তু তা করতে হলে রেকের সংখ্যা বাড়ানো যেমন জরুরি, তেমনই ব্লু–লাইনের সিগন্যাল–ব্যবস্থা গ্রিন লাইনের মতো কমিউনিকেশন বেসড টেলিকমিউনিকেশন কন্ট্রোল (সিবিটিসি)–এ বদলানোও প্রয়োজন। আশার কথা, ইতিমধ্যে সিগন্যাল ব্যবস্থা বদলের পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার শুভ্রাংশু মিশ্রর বক্তব্য, ‘কলকাতা মেট্রোর ব্লু–লাইনে সিবিটিসি অনুমোদন পেয়েছে। তবে এই ব্যবস্থা চালুর আগে ব্লু–লাইনের পরিকাঠামোর ঢালাও উন্নয়ন প্রয়োজন। সেই কাজের জন্যে ৪৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছে।’

    তবে ব্লু–লাইনে সিবিটিসি চালু করতে অন্তত তিন–চার বছর লেগে যাবে বলেই জানাচ্ছেন মেট্রোর আধিকারিকরা। আপাতত কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন মেরামতির কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে। ২০২৬–এর শেষ দিকে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন ফের যাত্রী পরিষেবার উপযুক্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে। তার অনেকটা আগে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে ক্রস–ওভার তৈরির কাজ শেষ হবে। তাতেও ব্লু–লাইনের যাত্রীদের হয়রানি কমবে বলে দাবি মেট্রোর আধিকারিকদের।

    সেই সঙ্গে ব্লু–লাইনে সিবিটিসি চালু করতে রেকগুলিতেও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমানে ব্লু–লাইনে যে রেক চলে, তার মধ্যে শুধু চিন থেকে আমদানি করা রেকেই এই ব্যবস্থা বসানো সম্ভব। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির রেকে এই ব্যবস্থা আলাদা করে বসাতে হবে। কাজ সহজ নয়। তবে আশার কথা, মেট্রোর কর্তারা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনা–চিন্তা শুরু করেছেন এবং খরচের প্রাথমিক হিসেব কষে অর্থ বরাদ্দও করিয়েছেন।

  • Link to this news (এই সময়)