২০০২ সালের ভোটার তালিকা খুঁজছেন? রাজ্যের সিইও দপ্তরের ওয়েবসাইট নিষ্ক্রিয়, তাহলে পাবেন কোথায়? রইল হদিশ...
আজকাল | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৭ অক্টোবর। সোমবার। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, ২৮ তারিখ থেকেই বঙ্গে শুরু হচ্ছে এসআইআর। দ্বিতীয় দফায় এসআইআর হচ্ছে-বাংলা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পুদুচেরি, আন্দামান-নিকোবর, গোয়া, গুজরাট, তামিলনাড়ু, লাক্ষাদ্বীপ, কেরল-এ।
বাংলায়- ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর চলবে এনুমারেশন ফর্ম প্রক্রিয়া। ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ। ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি, ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
২৭ অক্টোবরের ঘোষণার পরের দিন থেকেই, অর্থাৎ ২৮ তারিখ থেকেই রাজ্যে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় সিইও দপ্তরের ওয়েবসাইট। ফলে আতঙ্কের মাঝেও, অনেকেই চাইলেও আর ওয়েবসাইট থেকে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখতে পারছিলেন না। খুঁজতে পারছিলেন না, তাঁদের নাম রয়েছে কি না। এই পরিস্থিতিতে বড় ঘোষণা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। শুক্রবার সিইও দপ্তর রাজ্যের নয়া সাইট চালু করার কথা ঘোষণা করল।
সূত্রের তথ্য, ওই নয়া ওয়েবসাইট থেকে চাইলেই সাধারণ মানুষ খুঁজে পাবেন ২০০২ সালের ভোটার তালিকা। সেখান থেকেই নাম খুঁজতে পারবেন। নয়া ওয়েবসাইট-https://ceowestbengal.wb.gov.in/
রাজ্যের ৮০ হাজার বুথে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) নিয়োগ পর্ব বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশনের চিফ ইলেকশন অফিসার (সিইও) মনোজ আগরওয়াল বৃহস্পতিবার জানান, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে প্রক্রিয়াটি শেষ হয়েছে। আরও অনেকে বিএলও পদে যোগ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সকলকে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। এর পাশাপাশি তিনি রাজ্যের ভূয়ষী প্রশংসাও করেন।
৩০ অক্টোবর, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে সিইও সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক পদক্ষেপের কথা জানান। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যথাসাধ্য সহযোগিতা করছে এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দিকটি নজরে রেখে এসআইআর-এর কার্যকলাপ চলছে। একই সঙ্গে বিএলও রিক্রুটমেন্ট পর্বে যত সংখ্যক নিয়োগের প্রয়োজন ছিল তা সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা জনিত বিষয়ে রাজ্য পুলিশও যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাজ্যে নির্বাচনের জন্য কোন প্রয়োজন এই মুহূর্তে নেই। যদি রাজ্য প্রয়োজন মনে করে এবং প্রয়োজনীয়তা জানায় তাহলে সেটা তখন আলোচনা করা হবে। অন্যথায় ভোট পর্ব শুরু হলে বা পূর্বে যেমন হয়েছে তেমন ভাবেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়োগ করা হবে।”
মনোজ কুমার জানিয়েছেন, নির্বাচনের জন্য ডেটা কালেকশন ও সার্ভার ব্যবহার ন্যাশনাল ইনফোমেটিভ সেন্টার (এনআইসি) দ্বারাই পরিচালিত হবে। বাইরে থেকে কোনও সার্ভার বা ডেটা ব্যবহার করা হবে না। তিনি আরও জানিয়েছেন, এনআইসি-র উপরে চাপ বেশি পড়তে পারে সেই কারণে রাজ্য থেকে ডেটা কালেকশন ও রাজ্যের সহযোগিতার আহ্বান করা হয়েছেয। রাজ্য-কেন্দ্র মিলিতভাবে ন্যাশনাল ইনফরমেটিভ সেন্টারের আরও উন্নত সার্ভার ব্যবহার করে পরবর্তীতে পুরো এসআইআর প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে এবং ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।