• দুর্বল ঘূর্ণিঝড় মন্থা , তবু কলকাতায় মেঘগর্জন ও বৃষ্টি
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • সকাল থেকেই শহরের আকাশে মেঘের আনাগোনা। কখনও ঝলমলে রোদ, আবার হঠাৎই নামছে বৃষ্টি। দুপুর গড়াতেই কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ, ঝুম ঝুম বৃষ্টি নামে কলকাতায়। শুধু মহানগরই নয়, সল্টলেক ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ থেকে ঘন ঘন বাজ পড়ার শব্দে কেঁপে উঠেছে শহর। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও আবহাওয়ার একই চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    যদিও ঘূর্ণিঝড় মন্থার সরাসরি প্রভাব পড়েনি পশ্চিমবঙ্গের উপর। তবু সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কালো ছায়া পড়েছে রাজ্যে। বর্তমানে মন্থা শক্তি হারিয়ে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সেটি এখন অবস্থান করছে ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ প্রান্ত এবং সংলগ্ন এলাকায়। সেই নিম্নচাপের জেরেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হুগলি ও বীরভূম জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সেই কারণে এই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই যেমন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে, শুক্রবারও সেই একই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গেও মন্থার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও উত্তর দিনাজপুরে ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

    ঘূর্ণিঝড় মন্থা শক্তি হারিয়ে দুর্বল হলেও তার প্রভাব যে এখনও বজায় রয়েছে, তা স্পষ্ট। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে আংশিক মেঘলা আকাশের সঙ্গে মাঝেমধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলতে পারে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)