অনুপ কুমার দাস: স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল দুই ভাই, উদ্ধার হলেও শেষ রক্ষা হলো না বড় ভাইয়ের।
সাতসকালে নদিয়ার শান্তিপুরে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে গেল দুই ভাই শুভম রায় (৫) ও শুভজিৎ রায় (৩)। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘাযতীন পাড়া লেনে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই ভাই সকালে বাড়ি থেকে চুপিচুপি বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপরই প্রতিবেশীরা খবর দেন যে, দুই ভাইকে পুকুরে ভাসতে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা জলে নেমে তাদের উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা বড় ভাই শুভমকে মৃত ঘোষণা করেন। ছোট ভাই শুভজিৎ আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। পরিবারের দাবি, শুভম ছিল খুব চঞ্চল স্বভাবের, তাই মা সবসময় নজরে রাখতেন। কিন্তু আজ অজান্তেই তারা বেরিয়ে পড়ে। এই আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে এটি দুর্ঘটনা বলে মনে হলেও, শিশুদের পুকুরে নামার পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এর আগে, ছটপুজোর আনন্দ নিমেষে বদলে গিয়েছিল বিষাদে! মঙ্গলবার সকালে ছট উপলক্ষে নদীতে স্নান করতে নেমে মর্মান্তিক পরিণতি। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায় জলে ডুবে মৃত্যু হল এক ব্রতীর। তাঁর নাম পাণ্ডে দাস। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের ঔরঙ্গাবাদেও এক কিশোরের মৃত্যু হয়। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় ভাগীরথী নদীতে তলিয়ে গেল দু’ভাই। একেবারে আত্মীয়-পরিজনদের চোখের সামনে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। ডুবে যাওয়া দুই তরুণের খোঁজে নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিসবাহিনী।
জানা গিয়েছে, গঙ্গায় তলিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বছর পঁচিশের শিবম সাউ ও ১৮ বছরের সুজন সাউ। সম্পর্কে তাঁরা তুতো ভাই। কাটোয়া ন্যাশনালপাড়ায় বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাটোয়ার দেবরাজঘাটে স্নান করতে এসেছিলেন শিবম, সুজন। এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ ন্যাশানালপাড়ার ওই পরিবার-সহ বেশ কিছু পরিবার ছটপুজোর জন্য দেবরাজঘাটে স্নান করতে এসেছিলেন। একে একে সবাই স্নান করছিলেন। তখনই সুজন তলিয়ে যান। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে যান শিবমও।