সন্দীপ ঘোষ কাটোয়া: কাটোয়ার (Katwa) ২৫৮ নং বুথের বি এল ও -র (BLO) দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি (Trinamool Booth President)। কাটোয়ার যে বুথে ৫৯ জন মৃত ভোটার আছে বলে দাবি করেছে বিজেপি, সেই বুথের বি এল ও 'র দায়িত্বে তৃণমূলের বুথ সভাপতি। কোয়ারা গ্রামের ২৫৮ নম্বর বুথের তৃণমূলের বুথ সভাপতি পুরান চন্দ্র ঘোষ। ওই বুথেরই এবার বি এল ও হয়েছেন পুরান চন্দ্র ঘোষ। আর ওই ২৫৮ নম্বর বুথে ৫৯ জন মৃত ভোটার আছে বলে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন কে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। বি এল ও-র নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি। তৃণমূলের বক্তব্য নির্বাচন কমিশন বি এল ও নিয়োগ করে এর সঙ্গে দলের কোন সম্পর্ক নেই।
মহকুমা শাসক জানিয়েছেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। কেয়ারাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক পুরানচন্দ্র ঘোষ। তিনি কোয়ারা গ্রামের ২৫৮ নম্বর বুথের তৃণমূলের বুথ সভাপতি। এ বছর তিনি ২৫৮ নম্বর বুথের বি এল ও হয়েছেন। বিজেপি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে যে একজন তৃণমূলের বুথ সভাপতি কে কিভাবে বি এল ও করা হয় বিজেপির বার বার অভিযোগ তুলছে তৃণমূলের নেতাদের বেছে বেছে বি এল ও বি এল ও করা হচ্ছে, তারই জলজ্যান্ত প্রমাণ কুয়ারা গ্রামের ২৫৮ নম্বরেল বুথের বি এল ও পুরান চন্দ্র ঘোষ।
তাদের দাবি তৃণমূলের বুথ সভাপতি যদি একই বুথের বি এল ও হয় তাহলে সেখানে কোন স্বচ্ছতা থাকবে না, বিজেপির বি এল এ দের ঠিকমতো কাজই করতে দেবে না। তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও বি এল ও পুরান চন্দ্র ঘোষ বলেন , আমি পার্টি করি কিনা সেটা জিজ্ঞেস করেনি ,আমাকে নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আমি স্বচ্ছতার সাথে কাজ করব।
প্রসঙ্গত দ্বিতীয় দফায় ১২ রাজ্যে SIR-এর দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই ফের বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। কোথাও ২০০২-এর তালিকায় নাম না থাকলেও, তাঁদের BLO-র দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগ। কোথাও ভোটার লিস্ট থেকে নাম মুছে দেওয়ার অভিযোগ। গতকালই SIR নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে তৃণমূল।TMC নেতা কুণাল ঘোষ তোপ দেগেছেন, 'একটা বুথেই ৯০০ নাম উধাও! হিন্দু ভোটারদের নাম বাদ গিয়েছে! চুপিচুপি নাম মুছছে কমিশন...' দাবি করেন, 'বুথ ২ নাটাবাড়ি কোচবিহারে দেখা যাচ্ছে ২০০২-এর লিস্টে ৭১৭টি নাম ছিল। এখন আপলোডেড লিস্টে দেখা যাচ্ছে ১৪০। বাকিরা কোথায় গেলেন? উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের ১৫৯ নম্বর বুথে এখন দেখা যাচ্ছে কোনও ভোটার নেই। কিন্তু এই বুথে ৯০০ ভোটার ছিল।' বিস্ফোরক অভিযোগ, 'অনেক হিন্দু ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে।'