অর্ণবাংশু নিয়োগী: বড় খবর! SIR নিয়ে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। এসআইআর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ। মামলা দায়েরের অনুমতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চের।
আবেদনকারীর দাবি মূলত ৪টি। যথা-
১) আদালতের নজরদারিতে হোক SIR প্রক্রিয়া।
২) এসআইআর-এর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হোক।
৩) কেন এসআইআর করা হচ্ছে? প্রয়োজন কি এসআইআর-এর? বিস্তারিতভাবে আদালতের কাছে জানাক জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
৪) ২০০২ এর ভোটার তালিকা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করুক জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত দ্বিতীয় দফায় ১২ রাজ্যে SIR-এর দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই ফের বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। কোথাও ২০০২-এর তালিকায় নাম না থাকলেও, তাঁদের BLO-র দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগ। কোথাও ভোটার লিস্ট থেকে নাম মুছে দেওয়ার অভিযোগ। গতকালই SIR নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে তৃণমূল।TMC নেতা কুণাল ঘোষ তোপ দেগেছেন, 'একটা বুথেই ৯০০ নাম উধাও! হিন্দু ভোটারদের নাম বাদ গিয়েছে! চুপিচুপি নাম মুছছে কমিশন...' দাবি করেন, "বুথ ২ নাটাবাড়ি কোচবিহারে দেখা যাচ্ছে ২০০২-এর লিস্টে ৭১৭টি নাম ছিল। এখন আপলোডেড লিস্টে দেখা যাচ্ছে ১৪০। বাকিরা কোথায় গেলেন? উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের ১৫৯ নম্বর বুথে এখন দেখা যাচ্ছে কোনও ভোটার নেই। কিন্তু এই বুথে ৯০০ ভোটার ছিল।" বিস্ফোরক অভিযোগ, "অনেক হিন্দু ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে।"
এর পাশাপাশি শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ঢুকে নিজের নাম খোঁজার হিড়িক। যার জেরে রীতিমতো ক্র্যাশ করে যায় কমিশনের সাইট! কমিশন দাবি করে, প্রায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ লগ ইন করে নাম খুঁজতে শুরু করায় সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। ক্র্যাশ করে সাইট! কমিশন সূত্রে খবর, SIR ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত সিইও ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়েবসাইটে ঢুকে ভোটার তালিকার নাম খুঁজেছেন ১ কোটিরও বেশি মানুষ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চাপ বেড়েছে সিইও দফতরের পোর্টালে। পরিস্থিতি এমনই যে, মাঝে মাঝেই বিকল হয়ে যাচ্ছে সাইট!