দেব গোস্বামী, বোলপুর: বাংলা বলার অপরাধে খুন! বীরভূমের কসবা গ্রামের ছায়া এবার নানুরে! উত্তরপ্রদেশের কাঁকিনাড়া এলাকায় উদ্ধার বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। রেললাইনের ধারে উদ্ধার তাঁর দেহ। বৃহস্পতিবার রাতে যুবকের বাড়িতে খবর আসে। পরিবারের অনুমান, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তবে এখনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম দুধকুমার বাগদি। বয়স ১৮ বছর। তিনি নানুর থানার বড়াগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জানা গিয়েছে, একটি রুটি কারখানায় কাজ নিয়ে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন দুধকুমার। সফর করছিলেন ট্রেনে। বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বুধবার। বৃহস্পতিবার রাতে আরপিএফের তরফে দুধকুমারের বাড়িতে ফোন করে মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার জেরে এই মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে পরিবার তা মানতে নারাজ। তাঁদের অনুমান বাংলা বলায় ছেলেকে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে মৃতের বাড়িতে যান বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যুবকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়।
উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগে বীরভূমের পারুই থানার দামোদরপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রতীক হেমব্রমের দেহ উদ্ধার হয় উত্তরপ্রদেশে। পরিবারের দাবি অনুযায়ী, শেষবার প্রতীকের সঙ্গে কথা হয়েছিল ২২ অক্টোবর। সেদিন তাঁর কথাবার্তায় কিছুটা অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। মনে হয়েছিল, কোনও কারণে আতঙ্কে ছিলেন তিনি। তবে তখন বিষয়টি ততটা গুরুত্ব দেননি তাঁরা। এরপর ২৫ অক্টোবর শনিবার গভীর রাতে পারুই থানার মাধ্যমে পরিবার খবর পায়, উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলার গোবিন্দনগর থানা এলাকায় রেললাইনের ধারে প্রতীকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতীকের স্ত্রী। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বীরভূমের আরও এক যুবকের দেহ উদ্ধার উত্তরপ্রদেশে।