• বৃষ্টির জেরে ফের দুর্ভোগে ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠির বাসিন্দারা, এলাকায় গেলেন বিধায়ক
    বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মরার উপর খাঁড়ার ঘা! গত ৫ অক্টোবর বন্যার জেরে ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল ত্রাণ শিবিরে। এবার মন-থার প্রভাবে বৃষ্টির জেরে ফের দুর্ভোগে পড়তে হল ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠি এলাকার বাসিন্দাদের। বাড়ি-ঘর মেরামত না হওয়ায় ওই এলাকায় এখনও অনেকেই ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। বৃষ্টিতে ত্রাণ শিবিরে জল ঢুকে যাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সরিয়েও আনা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দুর্গতদের নিয়ে কার্যত রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। আজ দুর্গত এলাকায় গিয়ে অব্যবস্থার অভিযোগ তোলেন ধূপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়। দুর্গতরা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এর কিছু পরেই গধেয়ারকুঠি এলাকায় পৌঁছন ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অযথা আতঙ্কিত হতে নিষেধ করেন। বলেন, প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। আমরাও পাশে আছি। চিন্তার কোনও কারণ নেই। কমিউনিটি কিচেনে যেখানে দুর্গতদের জন্য রান্না করা হচ্ছে সেই জায়গাও এদিন ঘুরে দেখেন তিনি। অপরদিকে, ময়নাগুড়িতে বন্যা কবলিত বেদগারা খাটোরবাড়ি এলাকায় অনেক ব্যক্তিরা পলিথিনের তাঁবুর নীচে ছিলেন। দুর্যোগের কারণে আপাতত তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খাটোরবাড়ি, তারাবাড়ি ও দাসপাড়া এলাকার দুর্গতদের মধ্যে অনেকেই বাঁধের উপর পলিথিনের নীচে ছিলেন। বর্তমানে তাঁদের চারেরবাড়ি নগেন্দ্রনাথ হাইস্কুল এবং আমগুড়ি রামমোহন স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত সেখানেই তাঁদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটায় যাওয়ার চিলারঘাট সেতু ভেঙে গিয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
  • Link to this news (বর্তমান)