অরূপ লাহা: একই দিনে একই রোগীর দুই রকম রিপোর্ট! কাঠগড়ায় শহরের দুই নামী ডায়াগনস্টিক সেন্টার। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন জেলাশাসক। চাঞ্চল্য বর্ধমানে।
পূর্ব বর্ধমানের কালনার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই স্নায়ুর রোগে ভুগছেন ভাইঝি সোহানা ইয়াসমিন। কলকাতা মল্লিকবাজারের একটি নিউরো হাসপাতালে চিকিত্সাও চলছে তাঁর। সেখানকার চিকিত্সকের পরামর্শেই প্রথমে বর্ধমান শহরের খোসবাগানের রামকৃষ্ণ রোডের এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ইইজি(EEG)করা হয় সোহানার। রিপোর্ট 'স্বাভাবিক' আসে। কিন্তু সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিত্সা চললেও রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ।
মোয়াজ্জেমের দাবি, চিকিত্সকদের পরামর্শে খোসবাগানেরই আর বি ঘোষ রোডের অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফের ইইজি(EEG)করা হয় তাঁর ভাইজির। সেই রিপোর্টও 'স্বাভাবিক'-ই আসে। কিন্তু কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক নাকি রিপোর্ট দেখে বলেন, রিপোর্টটি ভুয়ো! তাঁদের অভিযোগ, 'একই গ্রাফ দেখে ইচ্ছামতো রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে'।
অভিযোগকারী মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন, 'প্রথম রিপোর্ট তৈরি হয়েছিল ২৫ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় রিপোর্ট ১৬ অক্টোবর। পরে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই যোগাযোগ করি। রামকৃষ্ণ রোডের সেন্টার বিনামূল্যে নতুন রিপোর্ট দেওয়ার আশ্বাস দেয়, তবে আমরা আগ্রহ দেখাইনি'। তাঁর দাবি, 'আর বি ঘোষ রোডের সেন্টারের দুই কর্মী আমার বাড়িতে এসে একই তারিখের(১৬ অক্টোবর) নতুন রিপোর্ট দিয়ে যান। যে রিপোর্টে লেখা, অস্বাভাবিক'।
বর্ধমানের জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকেরা। জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, 'আমি সিএমওএইচকে সরেজমিন পরিদর্শন করে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছি'। জেলা স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে খবর।