চিত্তরঞ্জন দাস: বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারী পড়ুয়ার ধর্ষণ কাণ্ডে ফের অভিযুক্ত ছয় জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। মামলা দুর্গাপুরের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত হল। দুই অভিযুক্তর আলাদা করে জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত।
দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারী পড়ুয়া ধর্ষণ মামলায় ছয় জনের একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ। দুর্গাপুরের আ্যডিশেনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর এজলাস থেকে অতিরিক্ত দায়রা আদালতে গেল মামলা। আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় ফের ছয় অভিযুক্তকে তোলা হবে দুর্গাপুরের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে।
আজ এই মামলার দুই অভিযুক্ত শেখ রিয়াজউদ্দীন ও শেখ শফিকের জন্য জামিনের আবেদন করেন লিগ্যাল এইড এর আইনজীবী পূজা কুর্মি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ গতকাল এই মামলার চার্জশিট জমা করেছে পুলিস। মাত্র কুড়ি দিনের মধ্যে এই চার্জশিট পেশ করে পুলিস। ধৃত ছয় জনের মধ্যে সেখ রিয়াজুদ্দিন আদালতে জজের কাছে বলে, গতকাল রাতে একবার তাদের হাতে চার্জশিট দেওয়া হয় সংশোধনাগারে, আবার নিয়ে নেওয়া হয়। আজ সকালে আদালতে আসার আগে আবার দেওয়া হয় তাদের হাতে।
চার্জশিট পেশের দু'মাসের মধ্যে মামলার নিস্পত্তি করে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদী এই মামলার সরকারী আইনজীবী বিভাস চ্যাটার্জী। চলতি মাসের দশ তারিখে দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়ার সাথে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল, ১১ তারিখ ভোরে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়, এরপর তদন্তে নেমে একে একে পুলিস ডাক্তারী পড়ুয়ার সহপাঠী-সহ আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়াকে 'গণধর্ষণে'র ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল ৷ তবে, পুলিশসের তরফে ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়নি ৷ পুলিস সূত্রে খবর, আদালত এই চারজনকে জেল হেফাজতে পাঠালে, সেখানেই টিআই প্যারেডের ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে জানিয়েছিল ৷ এর জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর ধর্ষণ-কাণ্ডে মঙ্গলবার দুই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়েছিল ৷ সেখানে বিচারক তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠান ৷ এরপর এ দিন নির্যাতিতার সহপাঠী তথা প্রেমিক-সহ ৪ অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয় ৷ উল্লেখ্য, দুর্গাপুর ধর্ষণ-কাণ্ডে প্রথমে শেখ রিয়াজউদ্দিন এবং শফিক শেখকে গ্রেফতার করে পুলিস ৷ তার পরেরদিন শেখ ফিরদৌস, শেখ নাসিরউদ্দিন এবং অপু বাউড়ি নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ৷
ওই দিন রাতেই নির্যাতিতার সহপাঠীকে গ্রেফতার করা হয় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৷ উল্লেখ্য, ধৃত শেখ রিয়াজউদ্দিন, শফিক শেখ, শেখ ফিরদৌস, শেখ নাসিরউদ্দিন এবং অপু বাউড়ি দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পাশে বিজড়া গ্রামের বাসিন্দা ৷