অর্ণব দাস, বারাকপুর: আগরপাড়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। আবাসনে নিজের ঘর থেকেই গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হল দেহ। বিহারের বাসিন্দা ওই পড়ুয়া আগরপাড়ার এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। তিনি কি আত্মহত্যা করেছেন নাকি খুন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে খড়দহ থানার পুলিশ। মৃত পড়ুয়ার তিন রুমমেটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর নাগাদ আগরপাড়ার এক হস্টেল আবাসনে তিন সহপাঠীর সঙ্গে থাকতেন বিহারের গোরক্ষপুরের ছাত্র গুলশন কুমার। মাস তিনেক আগে তিনি আগরপাড়ার বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র গুলশন হস্টেলের আবাসনে একটি ঘরে একাই থাকতেন। পাশের ঘরে থাকত দুই সহপাঠী। সকাল থেকে তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। দুপুরের দিকে ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় বন্ধুরা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান গুলশনকে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খড়দহ থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভিনরাজ্যের পড়ুয়ার এহেন মৃত্যুতে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। প্রতিবেশীরাও এনিয়ে আলোচনা শুরু করেন। শুভাশিস রায় নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ”এখানকারই একটা হস্টেলের আবাসনে ছেলেটি থাকত। আজ সকালে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওর বয়স ২০ বছরের কাছাকাছি হবেকেন এরকম হল, তা কেউ বলতে পারছে না। আমাদের মনে হয়, প্রেমঘটিত কোনও কারণ ছিল। আমরা ওর বন্ধুদেরও বলেছি, পুলিশকেও জানিয়েছি, তদন্তে কোনও সহযোগিতা লাগলে আমরা আছি সবসময়।”