• পরিবেশ দূষণ নিয়ে গবেষণা, ভিন্ন ভাবনা উচ্চমাধ্যমিকের সেমেস্টারে চতুর্থ ছাত্রীর
    প্রতিদিন | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • রাজা দাস, বালুরঘাট: পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল, মেধাতালিকায় নাম উজ্জ্বল হওয়া মানেই কিন্তু বইমুখো হওয়া নয়। বরং প্রকৃতি যে বড় এক শিক্ষক, তা উপলব্ধি করতে পারলেই শিক্ষার আসল সার্থকতা। সেই উপলব্ধিতেই মেধাতালিকায় থেকেও অন্যদের চেয়ে পৃথক দক্ষিণ দিনাজপুরের ছাত্রী দীপান্বিতা পাল। উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম সেমেস্টারের তাঁর স্থান মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম এবং মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা দীপান্বিতার ইচ্ছে, ভবিষ্যতে পরিবেশ দূষণ রোধে গবেষণা করা। আপাতত অবশ্য সে মন দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ফাইনাল পরীক্ষায়। তাতেও যে র‌্যাঙ্ক করতে হবে।

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নামকরা বিদ্যালয়গুলিকে ছাপিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম পর্বে উঠে এল বংশীহারির প্রত্যন্ত দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়। ৯৮.৪২ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম এবং সার্বিকভাবে চতুর্থ স্থান দখল করল দীপান্বিতা পাল। শুক্রবার প্রথম সেমেস্টারের ফলাফল ঘোষণা হতেই আত্মহারা পরিবার।

    শিক্ষার আঙিনায় বেড়ে ওঠা দীপান্বিতার মা তন্দ্রা ঘোষ দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা। বাবা জগৎপতি পাল বেতলা রামকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বাড়িতে কবিতা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও গভীর মনোযোগ দীপান্বিতার। স্কুলে বরাবর প্রথম স্থান অর্জন করত সে। সংসদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ওএমআর শিটে এমসিকিউ ধরনের প্রশ্নের উত্তর ভিত্তিক পরীক্ষায় বসতে হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। যা সহজেই রপ্ত করে নিজের প্রতিভাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে দীপান্বিতা।

    শুক্রবার দুপুরে সংসদের ওয়েবসাইটে নিজের ফল দেখার পর সে জানায়, এই সাফল্যের নেপথ্যে বাবা-মা এবং শিক্ষকদের অবদান রয়েছে। শেষ বা চূড়ান্ত সেমেস্টারের দিকেই আপাতত লক্ষ্য তার। তবে জয়েন্টের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে। আর পরবর্তীতে পরিবেশ দূষণ নিয়ে গবেষণা করার স্বপ্ন দীপান্বিতার। মা তন্দ্রা সরকার জানান, ”আমরা ওকে শুধু গাইড করেছি। পড়াশোনাটা নিজের ইচ্ছেমতই করত। মেয়ের প্রথম পর্বের সাফল্যে আমরা গর্বিত। ফাইনাল সেমেস্টারেও মেয়ের র‍্যাঙ্ক করার দিকেই তাকিয়ে আমরা।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)