• ‘দল গঠনে আমার কথা শোনা হয়নি’, সুপার কাপ থেকে ছিটকে গিয়েই বোমা ফাটালেন মোলিনা
    এই সময় | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • সুপার কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরেই মোহনবাগানের হেড কোচ হোসে মোলিনা আঙুল তুললেন সরাসরি টিম ম্যানেজমেন্টের দিকে। শুক্রবার ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের কাছে আটকে যাওয়ার পরেই মোলিনা বোমা ফাটান। তিনি বলে দেন, এই দলের ব্যর্থতার দায় তাঁর নয়, বরং টিম ম্যানেজমেন্টের। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মোহনবাগানের কোচ দাবি করেন, ‘এ বার দল গঠনে আমার কথা শোনা হয়নি। আমার সিদ্ধান্তে মোহনবাগানের ফুটবলারদের দলে নেওয়া হয়নি। ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তেই ফুটবলার নেওয়া হয়েছে।’ মোলিনার কথাতেই স্পষ্ট, এ বার মোহনবাগানের ব্যর্থতার সব দায় টিম ম্যানেজমেন্টের, তাঁর নয়।

    তবে শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁর স্ট্র্যাটেজি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এ দিন সেমিফাইনালে যেতে হলে, মোহনবাগানকে ম্যাচটি জিততেই হতো। সেখানে ইস্টবেঙ্গলের ড্র করলেই চলত। আর সেটাই করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এ দিকে মোলিনার স্ট্র্যাটেজি দেখে মনে হয়নি, মোহনবাগানকে এই ম্যাচটি জিততেই হবে। শুরুতে এক স্ট্রাইকারে খেলতে নেমেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। জেমি ম্যাকলারেনের ঘাড়েই আক্রমণের ভার চাপিয়ে দল নামান মোলিনা। আর জেমিকে একা পেয়ে ইস্টবেঙ্গলের তো পোয়াবারো। তাঁকে বোতলবন্দি করে মোহনবাগানকে চাপে ফেলে দেয় অস্কার ব্রুজ়োর টিম। সেই সময়ে জেসন কামিংস, দিমিত্রি পেত্রাতোস, রবসন রোবিনহোরা ডাগআউটে বসে শুধুই দর্শকের ভূমিকায়। এমন কী দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও প্ল্যান বদলানি মোলিনা। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর পরিকল্পনা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

    বিরতির পরে মোহনবাগান যখন গোল পাচ্ছে না, তখন ম্যাচের ৬৩ মিনিটে সাহালকে তুলে কামিংসকে নামান মোলিনা। এর পর ৭৫ মিনিটে পেত্রাতোস এবং রোবিনহোকে একসঙ্গে নামান তিনি। তাতেও অবশ্য ফল বদলায়নি। কারণ ততক্ষণে ইস্টবেঙ্গলের মুঠোয় চলে এসেছে ম্যাচ। যার নিটফল, ম্যাচ ড্র হওয়ায় সুপার কাপ থেকেই ছিটকে যেতে হয় বাগানকে। আর সবুজ-মেরুনের এই ব্যর্থতার দায় কার? কোচ নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের? গঙ্গাপারের ক্লাবে শুরু নতুন বিতর্ক।

  • Link to this news (এই সময়)