স্টেশন থেকে মিনিটে দেড় লক্ষ টিকিট বুকিংয়ের ঘোষণাই সার, ২ মাসেও হয়নি কোনও কাজ
বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ঘোষণাই সার। পরবর্তী দু’মাসের মধ্যে স্টেশনের পিআরএস (প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম) কাউন্টার থেকে মিনিটে দেড় লক্ষ টিকিট বুকিংয়ের সম্ভাবনা দূর অস্তই। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি এসংক্রান্ত কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেছেন রেলমন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরেই এবিষয়ে আশঙ্কা রেল বোর্ডের অন্দরে। বোর্ডের শীর্ষ সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম কাউন্টারের সম্পূর্ণ ‘আধুনিক’ হতে আরও অন্তত বছরখানেক সময়ও লেগে যাতে পারে।
এব্যাপারে রেল বোর্ডের কোনও আধিকারিক আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেননি। তবে রেলমন্ত্রক সূত্রে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনেই কাজ এগোচ্ছে। পুরো বিষয়ই প্রযুক্তি নির্ভর। তা মাথায় রেখেই কাজ চলছে। সাধারণ রেল যাত্রীরা অল্পদিনেই এর সুফল ভোগ করবেন। উল্লেখ্য, এবিষয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলকে প্রযুক্তিগত সহায়তাপ্রদানকারী সংস্থা ‘ক্রিস’কে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন সফল করতে আপাতত ই-টিকিট বুকিংয়ের উপরই সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছে রেল। কিন্তু প্রত্যেক রেল যাত্রীই আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট কিংবা মোবাইল অ্যাপ থেকে অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ে সড়গড় নন। রেল কর্তৃপক্ষও তা বিলক্ষণ জানে। আর তা মেনেই স্টেশনের পিআরএস থেকে ‘কাউন্টার টিকিট’ বুকিংয়ের ব্যবস্থা উন্নত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে তুলনায় ট্রেনের কাউন্টার টিকিট বুকিংয়ের ‘গতি’ অনেক কম।
বর্তমানে স্টেশনের প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম কাউন্টার থেকে প্রতি মিনিটে ৩২ হাজার টিকিট বুকিং করা সম্ভব হয়। এই সংখ্যাই প্রায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেলমন্ত্রক। সেইমতোই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতি মিনিটে দেড় লক্ষ কাউন্টার টিকিট বুকিংয়ের ঘোষণাও হয়েছে। রেলমন্ত্রকের আধিকারিকদের একটি অংশের আশঙ্কা, ডিসেম্বরের ওই সময়সীমা সম্ভবত ‘মিস’ হতে চলেছে। যদিও শুধুমাত্র স্টেশনের পিআরএস কাউন্টার থেকে টিকিট বুকিং নয়। এহেন প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম থেকে যাবতীয় খোঁজখবর নেওয়ার গতিও বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে প্রতি মিনিটে সর্বোচ্চ চার লক্ষ টিকিট সংক্রান্ত খোঁজখবরের জবাব দেওয়া সম্ভব। রেলের ঘোষণা মতো, প্রতি মিনিটে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ লক্ষেরও বেশি হবে।