• ২ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সাহায্য, সাসপেন্ড পুলিশ
    বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • হায়দরাবাদ: দু’কোটি টাকার ঘুষ। তার বিনিময়েই বড়সড় প্রতারণা মামলায় অভিযুক্তকে পালানোর সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ হায়দরাবাদ পুলিশের এক সাব ইনসপেক্টরের বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদ সিটি পুলিশের কমিশনার ভি সি সাজ্জানার ইতিমধ্যেই ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছেন। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিও শুরু হয়েছে। 

    জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর নাম শ্রীকান্ত গৌড়। তিনি যাঁকে পালাতে সাহায্য করেছেন, তিনি ২৩ কোটির জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ভুপ্পাতাপাতি সতীশ। গত ২৪ অক্টোবর সতীশ, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে মুম্বই থেকে হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সদাশিবপেটের কাছে অভিযুক্ত ওই পরিবার পুলিশের হেপাজত থেকে পালিয়ে যায়। সূত্রের খবর, ওই সাব ইনসপেক্টর ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য পুলিশকর্মীদের সতীশের কাছ থেকে সরিয়ে দেন। আর নিজেই অভিযুক্তদের মহারাষ্ট্র সীমানায় গাড়ি করে ছেড়ে দিয়ে আসেন। সতীশ আগে থেকেই সেখানে গাড়ির ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। তাতে চড়েই পরিবার পালিয়ে যায়। 

    পরে তদন্ত শুরু হলে কোলাপুরের কাছে সেই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীদের স্পষ্ট অনুমান, বর্তমানে সতীশ পরিবারকে নিয়ে মহারাষ্ট্রেই রয়েছেন। অন্যদিকে গৌড়কে গোটা ঘটনায় দায়ী করে গাফিলতির দায়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, হায়দরাবাদ থেকে পুলিশের যে দল সতীশকে মুম্বইয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, সেই গোটা টিমকেই বর্তমানে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। 

    এছাড়া মহারাষ্ট্র সহ সংলগ্ন আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে সতীশ ও তাঁর পরিবারের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে অভিযুক্তদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লেনদেন খতিয়ে দেখেই তাঁদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 

    এদিকে সতীশ বৃহস্পতিবার স্থানীয় আদালতে অগ্রিম জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন খারিজ হয়েছে। ইতিমধ্যে এসআই গৌড়ের বিরুদ্ধে দু’কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই মামলাতেও তদন্ত চলছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)