ঋতুস্রাবের ‘প্রমাণ’ দিতে গোপনাঙ্গের ছবি তুলতে বাধ্য হলেন ৩ সাফাইকর্মী, হরিয়ানার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় নিন্দা
বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
চণ্ডীগড়: ঋতুস্রাবের ‘প্রমাণ’ দিতে তিন সাফাইকর্মীকে গোপনাঙ্গের ছবি তুলতে বাধ্য করার অভিযোগ। হরিয়ানার রোহতাকে মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। অভিযোগের তির মহিলা সাফাইকর্মীদের সুপারভাইজারদের দিকে। ঘটনার প্রতিবাদে চলেছে তুমুল বিক্ষোভ। অভিযুক্ত অফিসারদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২৬ অক্টোবরের এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কে কে গুপ্তা বলেছেন, ‘আমরা তদন্ত করব। দোষী প্রমাণিত হলে রেহাই মিলবে না।’ হেনস্তার শিকার হওয়া তিন সাফাইকর্মী অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিনোদ ও বিতেন্দ্র নামে দুই সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। ঋতুস্রাবের কারণে অসুস্থ বোধ করায় তাঁরা ছুটি চেয়েছিলেন। অন্য সিনিয়ার অফিসাররা অনুমতি দিলেও রাজি হননি দুই অভিযুক্ত সুপারভাইজার। তাঁদের পালটা দাবি ছিল, তিন সাফাইকর্মী মিথ্যা বলছেন। অভিযুক্ত সুপারভাইজাররা অন্য এক মহিলা কর্মীকে নির্দেশ দেন, তিন সাফাইকর্মীকে শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে পোশাক খুলিয়ে তাঁদের গোপনাঙ্গের ছবি তুলে আনতে হবে। ছুটির জন্য ঋতুস্রাবের ‘প্রমাণ’ লাগবে। অভিযুক্তরা দাবি করেন, তাঁরা সহকারী রেজিস্ট্রার শ্যাম সুন্দরের নির্দেশ মতো ওই ‘প্রমাণ’ চাইছেন। চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের হুমকির মুখে পড়ে তিন মহিলা সাফাইকর্মী গোপনাঙ্গের ছবি তুলতে বাধ্য হন। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য মহিলা কর্মী, পড়ুয়া ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। ঘটনার ছবি ও ভিডিও পাঠানো হয় রাজ্য মহিলা কমিশনে। পরে ভগৎ সিং নামে এক অধ্যাপক এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত ও পুলিশে অভিযোগ দায়েরের আশ্বাস দেন তিনি। পিজিআইএমএস থানার স্টেশন হাউস অফিসার রোশন লাল বলেন, দুই সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। বিএনএসের অধীনে যৌন নিগ্রহ, হেনস্তা, মহিলাদের মর্যাদাহানি সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।