নিজস্ব প্রতিনিধি, পাটনা: ফাঁকা হোটেল কিন্তু ঘর নেই। ব্যাপারটা কী রকম? হ্যাঁ ঠিকই। পাটনা জংশন রেল স্টেশন চত্বর তো বটেই ডাকবাংলো মোড়, ইনকাম ট্যাক্স চৌরাহা কিংবা গান্ধী ময়দানের আশপাশের এলাকা। সর্বত্র একই অবস্থা। হোটেল আছে। ঘর ফাঁকাও আছে। কিন্তু সেগুলো নাকি বুকিং হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কারা বুকিং করল?
‘ভাইয়া বঙ্গাল সে আয়ে হ্যাঁয়, হোটেল মিলেগা।’ বৃষ্টি ভিজে তড়িঘড়ি পায়ে হেঁটে পাটনা জংশনের পাশেই এক মধ্যবিত্ত হোটেলে উঠেই ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে বলতেই জবাব এল, ‘নেহি। সব বুকিং হ্যায়!’ পাশের আরেকটা হোটেলে গিয়েও একই উত্তর মিলল। তবে এখানে কেয়ারটেকার বললেন, ‘রুম পাওয়া যাবে, কিন্তু ভাড়া একটু বেশি পড়বে।’ তা হোক। আগে রুম দেখা যাক। কেয়ারটেকারের সঙ্গে যেতেই দেখা গেল প্রায় সবকটি ঘরই ফাঁকা। মেরে কেটে দু-তিনটে ঘরে লোক রয়েছে। ‘ঘর তো ফাঁকা, তাহলে বুকিং বলছেন কেন?’ কেয়ারটেকার রঞ্জিতের উত্তর, ‘ভোট। তাই সব হোটেল বুক হয়ে রয়েছে। কার্যকর্তারা আসছেন যাচ্ছেন।’ জানা গেল, পার্টির তরফ থেকে শুধু হোটেল আর রুম নম্বর বলে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাইই নয়, একই হোটেলে এসে উঠছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আরজেডি, জেডিইউ কিংবা বিজেপি অথবা কংগ্রেসের কর্মকর্তারা। তাই লম্বা বুকিং থাকছে। পাটনা থেকেই পরিচালিত হচ্ছে সবটা।
পার্টির ডাকে গোপালগঞ্জ থেকে পাটনা এসেছিলেন আরজেডির এক কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ। উর্দুতে ছাপানো ইস্তাহার নিয়ে যাওয়ার কথা তাঁর। জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, ‘ভোটকে টাইম আনা জানা লাগা রেহতা হ্যায়। হোটেল পার্টিকা ব্যবস্থা হ্যায়।’ জেডিইউর এক কর্মকর্তা অবশ্য বলেন, ‘৬ তারিখ প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গেলে অবশ্য এমন অবস্থা থাকবে না। কারণ প্রথম দফাতেই পাটনা সংলগ্ন মধ্য এবং উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া বিহারের পশ্চিম জেলাগুলির নির্বাচন হয়ে যাবে। তাই তখন আর কর্মকর্তাদের থাকার চাপ থাকবে না।’