নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মন-থা’র জেরে উত্তরের পাহাড়-সমতলে একধাক্কায় নামল তাপমাত্রা। সঙ্গে সিকিমে প্রবল তুষারপাত। দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতেও বরফ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বলছে সিকিমের আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবার সকাল থেকে বরফের পুরু চাদরে ঢেকে যায় উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন ও ইয়ুমথাং ভ্যালি। পাশাপাশি এদিন ভারী তুষারপাত হয়েছে পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গুতে। নাথু লা যাওয়ার রাস্তাও ঢেকে গিয়েছে বরফের আস্তরণে। ছাঙ্গু লেকের ধারে কনকনে ঠান্ডা। হাওয়ায় পেঁজা তুলোর মতো ভেসে বেড়াচ্ছে বরফকণা। তুষারপাতের খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকেই এখন সিকিমমুখী। তবে ভারী তুষারপাতের জেরে ছাঙ্গু কিংবা লাচুংয়ের রাস্তা বরফে ঢেকে যাওয়ায় এদিন ব্যাহত হয় যান চলাচল। যাঁরা দার্জিলিংয়ে বেড়াতে এসেছেন, মরশুমের অনেকটা আগেই তুষারপাতের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তাঁরাও। যদিও মন-থা’র প্রভাবে দুর্যোগ চলায় আপাতত পর্যটকদের জন্য সান্দাকফু যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জিটিএ’র তরফে। বন্ধ রাখা হয়েছে মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাত্রা ও ট্রেকিং।
সিকিমের আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, উত্তর ও পূর্ব সিকিমের একাধিক জায়গায় তুষারপাত চলছে। শনিবারও ওসব এলাকায় তুষারপাত চলবে। একইসঙ্গে শুক্রবার রাতে সান্দাকফু সহ দার্জিলিংয়ের উঁচু জায়গায় বরফ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৩ সালে দার্জিলিং পাহাড়ে তুষারপাত হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। গতবছর অবশ্য নভেম্বরের ২১ তারিখ মরশুমের প্রথম তুষারপাত হয় শৈলশহরে। চলতি বছরের জানুয়ারিতেও দার্জিলিংয়ে বরফ পেয়ে খুশিতে মাতেন পর্যটকরা। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, উত্তর ও পূর্ব সিকিমে তুষারপাত চলছে। বরফ দেখার আনন্দে পর্যটকরা অনেকেই সিকিমে যেতে চাইছেন। দার্জিলিং পাহাড়েও এই মুহূর্তে পর্যটকরা রয়েছেন। তাঁরা পাহাড়ের ঠান্ডা উপভোগ করছেন। সান্দাকফুতে তুষারপাত হচ্ছে কি না অনেকে সেই খোঁজখবরও রাখছেন।
মঙ্গলবার রাত থেকে সিকিমে তুষারপাত শুরু হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে সেখানকার রাস্তাঘাট বরফে ঢেকেছে। ঘরের চালের উপর জমে রয়েছে বরফ। সেই বরফের মাঝে খুশিতে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে পর্যটকদের। মন-থা’র প্রভাবে পাহাড়ে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে, উত্তরের সমতলেও ঠান্ডার আমেজ।