• মাইক্রোসফ্টে বার্ষিক ৫৪ লক্ষ বেতনের চাকরি
    বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • ব্রতীন দাস, জলপাইগুড়ি; মাইক্রোসফট সংস্থায় বছরে ৫৪ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি পেলেন জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত হায়দরাবাদে মাইক্রোসফট সংস্থার অফিসে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। হুগলির ব্যান্ডেলের বাসিন্দা তানিয়া বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। আগামী বছর বিটেক শেষ করবেন তিনি। তারপরই পাকাপাকিভাবে যোগ দেবেন চাকরিতে। দুদিন আগেই মাইক্রোসফট সংস্থার তরফে চাকরির অফার লেটার এসেছে। ওই অফার গ্রহণ করেছেন তানিয়া। মাইক্রোসফটের মতো নামী সংস্থায় মোটা অঙ্কের বেতনে তানিয়া চাকরির অফার পাওয়ায় জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এখন খুশির হাওয়া। খুশি তানিয়ার পরিবারের সদস্যরাও। শুক্রবার টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তানিয়া বলেন, মাইক্রোসফট সংস্থার পক্ষ থেকে আমাকে বছরে ৫৪ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরির জন্য অফার লেটার পাঠানো হয়েছে। ওই অফার গ্রহণ করেছি। খুবই ভালো লাগছে। তানিয়ার বাবা ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। মা সংগীতা বন্দ্যোপাধ্যায় গৃহবধূ। একমাত্র সন্তান তানিয়ার সাফল্যে যার পর নাই খুশি তাঁরা। বললেন, গুগল কিংবা মাইক্রোসফটের মতো সংস্থায় চাকরির স্বপ্ন নিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বেছে নেয় মেয়ে। কলেজে পড়ার সঙ্গেই ইন্টার্নশিপ করেছে। ওর সাফল্যে আমরা গর্বিত।

    গত ১৪ জুলাই জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রী শ্রেয়া সরকার গুগলে বছরে ৫৪ লক্ষ টাকার চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বর্তমানে তিনি গুগলের বেঙ্গালুরুর অফিসে চাকরি করছেন। জলপাইগুড়ি শহরের অরবিন্দনগরের বাসিন্দা শ্রেয়ার বাবা আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করেন। মা গৃহবধূ। খুবই কষ্ট করে মেয়েকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িয়েছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর ফি মকুব করে দেয়। শুধুমাত্র মেধার জোরেই গুগলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পান শ্রেয়া। তাঁর পর এবার তানিয়া। তাঁর কথায়, কম্পিউটার সায়েন্সে বিটেক কিংবা এমটেক পড়ুয়াদের প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে, গুগল কিংবা মাইক্রোসফটের মতো সংস্থায় চাকরি পাওয়া। আমারও ছিল। শ্রেয়াদি গুগলে চাকরি পাওয়ার আমি ওকে দেখে খুবই অনুপ্রাণিত হই। তিনি বলেন, মাইক্রোসফটের কেরিয়ার পোর্টালে আবেদন করেছিলাম। ওরা আমার পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখে ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্বাচিত করে। অনলাইনে ইন্টারভিউ হয়। এরপর আমি নয়ডায় দু-মাসের ইন্টার্নশিপ করি। ওই ইন্টার্নশিপের পর আমাকে ফের ইন্টারভিউ দিতে হয়েছে। অবশেষে মাইক্রোসফটে জব অফার লেটার হাতে এল।

    জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক সুভাষ বর্মন বলেন, শ্রেয়া-তানিয়ারা আমাদের গর্ব। গুগল কিংবা মাইক্রোসফটের মতো সংস্থা তুখোড় ছাত্রছাত্রীদের চাকরিতে নিয়োগ করে থাকে। আমাদের কলেজের মেয়েরা মেধার জোরে ওইসব সংস্থায় মোটা বেতনের চাকরি পাচ্ছে, শুধু আমাদের নয়, গোটা বাংলার গর্ব।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)