• উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় দশম স্থানে মালদহ রামকৃষ্ণ মিশনের আবু
    বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের মেধাতালিকায় মালদহের মুখ রাখল রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির। রাজ্য ভিত্তিক মেধাতালিকার দশম স্থান অর্জন করল মালদহের আবু লাহেল সিদ্দিকী। ৯৭.৩৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে।   

    মালদহ রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক স্বামী তাপহরানন্দজী মহারাজ বলেন, আমরা খুব খুশি। ও খুব ভালো ছেলে। মাধ্যমিকেও ওর মেধাতালিকায় জায়গা করে নেওয়ার একটা প্রবল সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেবারে সামান্য নম্বরের ব্যবধানে মেধাতালিকার ১১ নম্বরেই থেকে গিয়েছিল। 

    ইংলিশবাজার শহরের মীরচকের সারদাপল্লিতে বাবা, মা, পিসি ও বোনের সঙ্গে থাকে আবু। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত। পড়াশোনার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই খেলার মাঠে ছুটে যায় সে। ক্রিকেট হোক কিংবা ফুটবল, সবেতেই পারদর্শী সে। মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস বলেন, শুধুমাত্র ডিআই হিসেবেই নয়, রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের একজন প্রাক্তনী হিসেবে আমি অত্যন্ত গর্বিত। 

    ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে ছিল আবু লাহেল সিদ্দিকীর। তাই ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি সে সিরিয়াস। ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তৃতীয় সেমেস্টারের মেধাতালিকায় জায়গা করা করে নেওয়ায় অত্যন্ত খুশি বাবা মহম্মদ ইসরাফিল হক। তিনি বলেন, আজ আমি একজন গর্বিত বাবা। ছোটবেলা থেকেই আমার ছেলে পড়াশোনায় বেশ মনোযোগী। মাধ্যমিক পরীক্ষায় মালদহ তথা রাজ্যের মেধাতালিকায় জায়গা করে নেবে বলে আশাবাদী ছিল সে। কিন্তু সেবার একাদশ স্থানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাকে। মাধ্যমিকের পর বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় আবু। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়ো সায়েন্সের পাশাপাশি অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে অঙ্ক বেছে নিয়েছে সে। 

    মা লাকি ইয়াসমিন রুনা বলেন, ছেলের সাফল্যে মানেই আমাদের সাফল্য। খবরটা শোনার পর থেকে খুব ভালো লাগছে। আবু বলে, পড়াশোনার জন্য আমার নির্দিষ্ট কোনও সময় নেই। যখন মন চায় তখনই পড়ি।আবু লাহেল সিদ্দিকী।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)