আদিবাসী মহিলাকে মারধর-ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা
বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: শামুকতলা থানা এলাকার এক আদিবাসী মহিলাকে প্রথমে মারধর ও পরে ধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহেন্দ্রনাথ চৌধুরী। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক বিজেপির প্রাক্তন অঞ্চল প্রমূখ। এলাকায় বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসাবেই পরিচিত। ধর্ষণের অভিযোগে ওই বিজেপি নেতা গ্রেফতার হওয়ায় জেলাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আদিবাসী মহিলার স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়েছেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে গত বুধবার রাত ১১টা নাগাদ প্রতিবেশী বিজেপি নেতা মহেন্দ্রনাথ চৌধুরী ঘরে ঢুকে প্রথমে ওই মহিলাকে মারধর ও পরে ধর্ষণ করে। মারধরের কারণে গুরুতরভাবে জখম হন ওই মহিলা। ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে মহিলাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অভিযুক্ত।
ওই দিন রাতেই জখম মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিতার মা ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মেয়েকে মারধর ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
আদিবাসী মহিলাকে বিজেপি নেতার ধর্ষণের ঘটনায় জেলাজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক জেলা পরিষদের মেন্টর মৃদুল গোস্বামী বলেন, রাজ্যে এধরনের ঘটনা ঘটলে বিজেপি নেতারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তোলে। হাথরস, মধ্যপ্রদেশ বা মণিপুরে এধরনের ঘটনা ঘটলে তখন বিজেপি নেতারা চুপ থাকেন। এখন আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে দলীয় নেতার গ্রেফতারির ঘটনায় কোথায় মুখ লুকোবেন বিজেপি নেতারা।
যদিও এই অস্বস্তি ঢাকতে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বর্তমানে দলের জাতীয় পরিষদ সদস্য গুণধর দাস বলেন, বহু মানুষ দলে আসে চলেও যায়। মহেন্দ্রনাথ চৌধুরীও এক সময় দলের অঞ্চল প্রমূখ ছিল বলে শুনেছি। বর্তমানে ওই যুবক আর আমাদের দলে নেই। আইন আইনের পথেই চলবে।
শামুকতলা থানার ওসি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ধৃত যুবককে শুক্রবার আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেল হেপাজতে পাঠিয়েছেন।