• তৃণমূল কংগ্রেসের ৮১ জনের জেলা কমিটি গঠিত, পদ পেলেন সৈকত
    বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: তৃণমূলের ৮১ জনের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি গঠিত হল শুক্রবার। দীর্ঘদিন পর দলে পদ পেলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে জেলা সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। যদিও নয়া কমিটিতে সৈকতের সঙ্গে আরও ১৫ জন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। এর আগে সৈকত যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে জলপাইগুড়ি শহরের একটি ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠায় দলে পদ খোয়ান তিনি। এরপর থেকে তৃণমূলের সমস্ত কর্মসূচিতে হাজির থাকলেও, দলের কোনও পদে ছিলেন না তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে তাঁকে জেলা সাধারণ সম্পাদক করে দলে সৈকতের গুরুত্ব বৃদ্ধি করা হল বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও সৈকত বলেন, শুনেছি আমাকে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আমার সঙ্গে আরও অনেকে এই পদে রয়েছেন। ফলে এসব পদ নিয়ে আমার মোহ নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দল করি। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে ভালোবাসি।

    সৈকতের পাশাপাশি ময়নাগুড়িতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুব্রত কর্মকারকে রাখা হয়েছে জেলা কমিটিতে। তৃণমূলের জেলার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে তাঁকে। রাজ্যস্তরে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে কাজ করায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলাকে অবশ্য জেলা কমিটিতে রাখা হয়নি।

    তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, সৈকত যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি ছিলেন। তাঁকে মাদারের জেলা কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে আসা সুব্রত কর্মকারকে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ দেওয়া হয়েছে। ব্লকস্তরের অনেককেও একাধিক পদ দেওয়া হয়েছে জেলা কমিটিতে। 

    তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, দলের ৮১ জনের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটিতে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রয়েছেন ১৬ জন, সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন ১৬ জন, ২০ জনকে সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)