নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্রে মার্কেট কমপ্লেক্স, সেমিনার হল ও আন্ডারগ্ৰাউন্ড পার্কিং জোন গড়ে তোলা হবে। শহরের শিবমন্দির ও পাঁচমাথা মোড় লাগোয়া এলাকায় এই প্রকল্প গড়ে উঠবে। শুক্রবার সীমানাপ্রাচীর দেওয়ার মাধ্যমে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হল। ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারপার্সন কবিতা ঘোষ বলেন, এই মডেল বাণিজ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে শহরের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
ঝাড়গ্রাম শহরের মাঝ বরাবর গিয়েছে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক। আলাদা জেলা গঠনের পরই সদর শহর ঝাড়গ্রামের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে জেলা কালেক্টরেট, জেলা আদালত ভবন তৈরি হয়েছে। দোকানপাট, শপিংমলের সংখ্যা বেড়েছে। পাঁচমাথা মোড় থেকে শিবমন্দির পর্যন্ত এলাকা শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এবার পুরসভার তরফে শহরের এই অংশে মডেল বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে মার্কেট কমপ্লেক্স, সেমিনার হল, আন্ডারগ্ৰাউন্ড পার্কিং জোন, টয়লেট, এটিএম ও বসার জায়গা থাকবে।
উড়ালপুল লাগোয়া শিবমন্দির থেকে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ মোড় পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা হবে। রাস্তা সম্প্রসারণের জেরে যে সমস্ত দোকান উচ্ছেদ হচ্ছে, সেই ব্যবসায়ীদের নতুন মার্কেট কমপ্লেক্সে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং জোন তৈরি হলে রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা কমবে। এতে শহরের যানজট সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। হাতের কাছে এটিএমও থাকবে। পুরসভার এই উদ্যোগ শহরের চেহারা পাল্টে দিতে চলেছে।
১৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নবু গোয়ালা বলেন, বিভিন্ন কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। অবশেষে কাজ শুরু হয়েছে। জেলার আর্থিক বিকাশে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
ঝাড়গ্রাম পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পাঁচমাথা মোড় ও শিবমন্দির লাগোয়া এলাকায় বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু হল। এতে ১৫লক্ষ টাকা খরচ হবে। বাকি কাজ ধাপে ধাপে করা হবে। পূর্তদপ্তরের কাছে ইন্টার-ডিপার্টমেন্টাল ট্রান্সফারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জমি হস্তান্তর হলেই মার্কেট কমপ্লেক্সের কাজ শুরু হবে।
পূর্তদপ্তরের আধিকারিক প্রদীপকুমার বিশ্বাস বলেন, মার্কেট কমপ্লেক্সের কাজ সম্পন্ন হলেই চার লেনের রাস্তা তৈরি শুরু করে দেওয়া হবে। দপ্তরের তরফে প্রথামিক পর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। জুবিলি মার্কেটের বস্ত্র ব্যবসায়ী কার্তিক পাত্র বলেন, স্থানীয় দোকানদারদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মার্কেট কমপ্লেক্স স্থানান্তর হলে আমাদের ব্যবসার আরও প্রসার ঘটবে।