• নজিরবিহীন ফল পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের
    বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: ২০২০ সালের পর ২০২৫। ফের একবার উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিল পুরুলিয়ার রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ। এবার একজন বা দু›জন নয়, ওই স্কুলের মোট ২৪ জন ছাত্রের নাম উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের মেধাতালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। যা একপ্রকার নজির বলেই মনে করছে জেলার শিক্ষানুরাগী মহল। ঘটনায় উচ্ছ্বসিত স্কুল কর্তৃপক্ষ সহ পড়ুয়ারা। এদিন ফল ঘোষণার পর থেকেই স্কুল চত্বরে খুশির আমেজ নজরে এসেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বামী জ্ঞানরূপানন্দ মহারাজ বলেন, বিগত কয়েক বছর রাজ্যের মেধাতালিকায় আমাদের স্কুলের ছাত্রদের নাম ছিল না। তবে এবছর আমাদের স্কুলের ছাত্ররা তাদের যোগ্যতার ছাপ রেখেছে। মোট ২৪ জন ছাত্রের নাম মেধাতালিকায় রয়েছে। তবে সব থেকে বড় বিষয় রাজ্যস্তরে যুগ্মভাবে প্রথম দু’ জনই আমাদের স্কুলের ছাত্র। এই ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে সেই চেষ্টাই থাকবে। এখন আমাদের লক্ষ্য চতুর্থ সেমেস্টার। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্তিত হয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য মেধাতালিকা ঘোষণা করেন। তৃতীয় সেমেস্টারের মেধাতালিকায় মোট ৬৯ জন পড়ুয়ার নাম রয়েছে। তারমধ্যে পুরুলিয়া জেলারই ২৪ জন এবং তারা প্রত্যেকেই রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্র। স্কুলের তরফে জানা গিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে দ্বাদশ শ্রেণিতে মোট ৬৪ জন ছাত্র রয়েছে। তৃতীয় সেমেস্টারে প্রত্যেকেই ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন কলা বিভাগের বাকি ৫৯ জন বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন। 

    তৃতীয় সেমেস্টারে মেধা তালিকায় যুগ্মভাবে আদিত্যনারায়ণ জানা ও প্রীতম বল্লভ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। দ্বিতীয় স্থানে ১০ জনের মধ্যে ৩ জনই ওই স্কুলের। তারা হল, পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা সুজন পরিচ্ছা, ত্রিদেব চক্রবর্তী ও পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা সৌমাল্য রুদ্র। শতাংশের নিরিখে তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৯৫। এছাড়াও ওই স্কুলেরই ৪ জন ছাত্র ৯৮.৪২ শতাংশ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকা চতুর্থ স্থানে রয়েছে। মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ৭ জন ছাত্রের নাম রয়েছে। শতাংশের নিরিখে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৯৭.৮৯। সবশেষে ৯৭.৩৭ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে নবম স্থান অধিকার করেছে ৮ জন ছাত্র। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়াদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে খেলাধুলো সহ সংস্কৃতি চর্চাতেও জোর দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আগামীতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যাতে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে তার জন্যও নিয়মিত পাঠ দেওয়া হয়। স্কুল চত্বরেই রয়েছে অনলাইন পড়াশোনার সুযোগ। প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলের সময় বাদেও সকাল ও সন্ধ্যায় প্রত্যেক ছাত্রের পড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পড়াশোনায় যাতে কেউ ফাঁকি দিতে না দেয় তা নিশ্চিত করতে শিক্ষকরা নিয়ম করে নজরদারি চালান। অন্যদিকে, একাদশ ও দ্বাদশের ছাত্রদের জন্য রাতের খাওয়ার পর বাড়তি দু’ ঘণ্টা পড়ার জন্য সময় রাখা হয়। সেই নিয়মেই সকলে পড়াশোনা করে। 
  • Link to this news (বর্তমান)