• উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা, মেধা তালিকায় নেই দুই বর্ধমানের স্কুল
    বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের মেধা তালিকার প্রথম দশে ঠাঁই পেল না দুই বর্ধমানের কোনও স্কুলের পড়ুয়াই। তবে, পূর্ব বর্ধমানের পাঁচ ছাত্র ও পশ্চিম বর্ধমানের এক ছাত্র অন্য জেলার স্কুলে পড়াশোনা করে সফলতার মুখ দেখেছে। 

    রাজ্যে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শক্তিগড় থানার হাটগোবিন্দপুরের বাসিন্দা সৌমাল্য রুদ্র। সে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া। চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে মেমারির পারিজাতনগরের বাসিন্দা জয় হীরা। সে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। ৯৮.৪২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। ভবিষ্যতে সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। মাধবডিহির আখিনা গ্রামের ময়ূখ পাল ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। সে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্র। ৯৭.৮৯ শতাংশ নম্বর পাওয়া এই ছাত্র আইআইটিতে পড়াশোনা করতে চায়। সে সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান। দশম স্থান দখল করেছে বর্ধমানের নতুনগঞ্জের বাসিন্দা নৈঋত রঞ্জন পাল। সে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। আগামী নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। 

    কাটোয়া শহরের সিদ্ধেশ্বরীতলা এলাকার বাসিন্দা শুভম রায় দশম স্থানে রয়েছে। সে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই সে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশোনা করছে। কাটোয়ার বাড়িতে তার বাবা স্বরূপ রায়, মা তন্দ্রা রায় থাকেন। মাধ্যমিকে ছেলে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেলেও মেধাতালিকায় ছিল না। তবে, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। 

    মেধা তালিকায় ঠাঁই পায়নি পশ্চিম বর্ধমানেরও কোনও পড়ুয়া। শুধু মেধা তালিকা থেকে ছিটকে যাওয়াই নয়, পাশের হারে শতাংশের বিচারেও অন্যান্য জেলা থেকে অনেক পিছিয়ে এই জেলা। এবার রাজ্যের পড়ুয়াদের মোট পাশের হার ৯৩.৭২ শতাংশ। সেখানে জেলায় পাশের হার ৯১.৬৮ শতাংশ। পাশের হারের নিরিখে জেলা হিসেবে ১৬তম স্থানে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান। 

    তবে, উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের মেধা তালিকায় নবম স্থান পেয়েছে গলসি-২ নম্বর ব্লকের পড়ুয়া অরিত্র দুয়ারি। কিন্তু, সেও এই জেলার স্কুলে পড়াশোনা করেনি। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই সে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনে পঠনপাঠন করছে। চাষি পরিবারের ছেলে অরিত্র ভবিষ্যতে এআই নিয়ে গবেষণা করতে চায়। 
  • Link to this news (বর্তমান)