পাশের হারে শীর্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেধা তালিকার ৩১ জনই নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের
বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পাশের হারে শীর্ষে। মেধা তালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে ৩১ জন। উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারের ফল প্রকাশ হয়েছে শুক্রবার। তাতে দেখা যাচ্ছে, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের দৌলতে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়জয়কার। কারণ মেধা তালিকায় স্থান করে নেওয়া ৩১ জনই নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের। প্রথম ও অষ্টম ছাড়া সবক’টি র্যাংকের কৃতী ছাত্র রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান থেকে। তবে উচ্চ মাধ্যিকের চতুর্থ ও চূড়ান্ত সেমেস্টার এখনও বাকি। তাই এই ফলাফলের পর আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ কৃতীরা।
এই জেলায় এবার পাশের হার ৯৬.৭২ শতাংশ। এর আগে কখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমন ফলাফল হয়নি বলেই অভিমত প্রবীণ শিক্ষাবিদদের। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে যারা মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। কিছুটা ব্যতিক্রমী পেশা বেছে নিতে চায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়। সে ৯৮.৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। জলপাইগুড়ির এই কিশোর ভবিষ্যতে পাইলট হতে চায়। কেন এমন ইচ্ছে? অতনুর বক্তব্য, দেশ-বিদেশ ও নানা জায়গা ঘোরার নেশা রয়েছে। প্লেন চালানো তার স্বপ্ন। এই স্কুল থেকেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আরও পাঁচ জন—ঐতিহ্য পাচাল, অর্কদ্যুতি ধর, প্রত্যুষ মণ্ডল, আদৃত পাল ও অরিঘ্ন সরকার। মেধা তালিকায় রাজ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে একজনই। সেও নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনেরই ছাত্র সোহম ভৌমিক। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৯২ শতাংশ। এই কৃতীর কথায়, ‘ওএমআর শিটে পরীক্ষা দেওয়ার নতুন অভিজ্ঞতা হল। এবার যা ফলাফল হয়েছে, তাতে আমি খুব খুশি। তবে এখনও পরীক্ষা পুরোপুরি শেষ হয়নি। এই ফল ধরে রাখতে আরও পরিশ্রম করতে হবে।’ ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় সোহম। চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম এবং দশম স্থানে যুগ্মভাবে একাধিক ছাত্র রয়েছে এই স্কুল থেকে। তবে এখানে পঞ্চম স্থানে রয়েছে একজনই। ৯৮.৩৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে এই র্যাংক পেয়েছে সৌম্যদীপ মিশ্র। আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এবারের মেধা তালিকায় যারা স্থান পেয়েছে, তাদের মধ্যে ছ’জন ছাত্র মাধ্যমিকেও র্যাংক করেছিল। প্রত্যেক কৃতীরই একটাই কথা, ক্লাসে শিক্ষকরা যেভাবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন, সেই অভ্যাসেই এসেছে সাফল্য। ফলাফল প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইশতেশানন্দ মহারাজ বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা সন্তোষজনক ফলাফল করেছে। আমরা চাইব তাদের এই ফলাফল অটুট থাকুক। তবে এখনও আরেকটা পরীক্ষা বাকি। অনেক দিন বাকি। অনেক পথ যেতে হবে। তবে মেধা তালিকায় আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ৩১ জন স্থান পাওয়ায় আমরা যথেষ্ট খুশি।’