শব্দকে ভালোবেসে ‘শব্দবাণ’! অভিনব মাসিক পত্রিকা প্রকাশ ‘পাজল ম্যান’ শুভজ্যোতির
প্রতিদিন | ০১ নভেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ে করেননি এই প্রায় পঁয়তাল্লিশেও। হয়তো শব্দকে ভালোবেসেই। কারণ যেটাই হোক, শব্দকে ধাঁধায় ফেলে আবার তার সমাধান করেও অদ্ভুত আনন্দ পান। এটাই তাঁর নেশা এবং পেশাও। দক্ষিণ কলকাতার সন্তোষপুর মডার্ন পার্কের শুভজ্যোতি রায় মাসিক পত্রিকার দুনিয়ায় অভিনবত্ব সংযোজন করলেন, বলাই যায়। ১ নভেম্বর থেকে তিনি প্রকাশ শুরু করলেন শব্দছকের মাসিক পত্রিকার। পত্রিকার নাম, শব্দবাণ। ট্যাগ লাইন, … সময় কাটবে, শব্দ নয়।
প্রথম সংখ্যায় মোট ২৪টি ছক রয়েছে। এগুলির সমাধান মিলবে আগামী মাসের পত্রিকায়। দেওয়া হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও, ৯৯০৩৪৭৪০০৭। ঝকঝকে চারটি পাতার প্রথম ও শেষ পাতা রঙিন। শেষপাতায় প্রতিযোগিতা, যার সঠিক উত্তর দিতে পারলে মিলবে পুরস্কার। পাঠক-পাঠিকারাও শব্দছক পাঠাতে পারবেন। আচমকা এমন একটা বিষয় নিয়ে পত্রিকা চালুর ভাবনা কেন? শুভজে্যাতির স্পষ্ট জবাব, ‘‘শব্দকে ভালোবেসে। সব বিষয়ের উপর পত্রিকা রয়েছে, তবে শব্দছক নিয়ে নয় কেন? কেন শব্দছক কোণে পড়ে থাকবে?’’
পোদ্দারনগর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পুত্রের স্কুলে পড়তে পড়তেই শব্দছক ভালো লেগে যায়। তার থেকে ভালোবাসা। পিছনের বেঞ্চে বসে বসেই মেলাতেন। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম ওঠে। ১৯৯৮ সালে দশমে থাকতে থাকতেই একটি পত্রিকায় ছক তৈরি করে পাঠান, ছাপানোও হয়। ২০০০ সালে একটি দৈনিকে নিয়মিত পাঠানো শুরু হয়। তারপর আরও পত্রিকা। দ্বাদশের পর আর পড়াশোনাটাও চালালেন না। চেষ্টা করলেন না চাকরির। শিক্ষক বাবা, ডাক্তার দিদির অনুযোগ কিঞ্চিৎ শুনতে অবশ্য হয়। কিন্তু তাতে কী? নিজের ‘পাজল ম্যান’ পরিচয়ে একটুও খারাপ লাগে না, বরং গর্ব হয় শুভজে্যাতির। ২০২২ সালে চারপাতার ত্রৈমাসিক পত্রিকা বের করেন, কিন্তু চাহিদা বাড়তে থাকায় খরচে পোষাতে পারেননি। এবার আর পিছনে ফিরবেন না। অতিপ্রত্যয়ী ‘পাজল ম্যান’।