কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে ‘অরণ্যের দিন রাত্রি’র রেস্টোর করা ভার্সন। যা ইতিমধ্যেই দেখানো হয়েছে কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেই সূত্র ধরেই শোনা যাচ্ছিল ছবি দেখানোর দিন উপস্থিত থাকতে পারেন শর্মিলা ঠাকুর আর সিমি গারেওয়াল। ফলে দুই অভিনেত্রীকে একই মঞ্চে দেখা যাবে বলে আশা করেছিলেন শহরবাসী। কিন্তু সেই আশা এ বারে পূর্ণ হচ্ছে না। আসছেন না শর্মিলা বা সিমি। ‘অরণ্যের দিন রাত্রি’ রোস্টোর করেছে ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশন আর মার্টিন স্করসেসির দ্য ফিল্ম ফাউন্ডেশনস ওয়ার্ল্ড সিনেমা প্রজেক্ট, জানুস ফিল্মস আর দ্য ক্রাইটেরিয়ান কালেকশন।
ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর বলেন, ‘এই ছবিটা রেস্টোর করার অভিজ্ঞতা দারুণ। সত্যজিৎ রায়ের ছবিগুলোর মধ্যে এটা আমার অন্যতম প্রিয় ফিল্ম। ৫৬ বছর পর ছবিটা নতুন জীবন পেয়েছে।’ কিফ-এ কি উপস্থিত থাকবেন শর্মিলা ঠাকুর আর সিমি গারেওয়াল? এই প্রশ্নের জবাবে শিবেন্দ্র বলেন, ‘না, ওঁরা কেউ এ বার কলকাতায় যেতে পারবেন না। তবে আমি থাকব স্ক্রিনিংয়ে।’
ফিল্মটির বিষয়ে দুই অভিনেত্রীই তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘আমি ‘আরাধনা’ ফিল্মের শুটিং করার সময়ে এই ছবিটা করার প্রস্তাব দেন মানিকবাবু (সত্যজিৎ রায়)। টানা একমাস শুটিং করেছিলাম ছবিটার জন্য। প্রচণ্ড গরমের কারণে ভোরবেলা আর রোদ পড়ার পর শুটিং করতাম আমরা। ছবিটা ঘিরে এত স্মৃতি আছে বলে শেষ করা যাবে না। ‘অরণ্যের দিন রাত্রি’ অত্যন্ত আধুনিক একটা ছবি। এ বার এই প্রজন্মের দর্শকরাও দেখতে পাবেন।’
সিমির কথায়, ‘‘অরণ্যের দিন রাত্রি’র রেস্টোরেশন একটা অনবদ্য উপহার। শুধুমাত্র যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের জন্যেই নয়, ওয়ার্ল্ড সিনেমার জন্য এটা বিশেষ উপহার। সত্যজিৎ রায়ের টাইমলেস ব্রিলিয়েন্সেরই প্রতীক।’ অতএব এ বছরের কিফ-এ দর্শকরা ছবিটাকে নতুন ভাবে দেখতে পেলেও অভিনেত্রীদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ থাকছে না।