ওটিটির ভিড়ে অস্ত্র বাংলার সংস্কৃতি, বাঙালির মন পেতে বদলে গেল হইচইয়ের চেহারা
প্রতিদিন | ০১ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐতিহ্য-সংস্কৃতি থেকে পেটপুজো সব কিছুতেই বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। গানবাজনা থেকে সিনেমাতেও বাঙালির হাতযশ আলাদা করে বলে বোঝানোর দরকার পরে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে এসেছে অনেককিছুই। সাদাকালো থেকে রঙিন সিনেমা, আর এখন সর্বত্র ওটিটি মাধ্যমের রমরমা। সেক্ষেত্রেও এক নতুন ধারা নিয়ে এসেছিল জনপ্রিয় ওটিটি মাধ্যম ‘হইচই’।
সাত বছর আগে রীতিমতো ‘হইচই’ ফেলে দিয়ে জার্নি শুরু করেছিল এই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। পায়ে পায়ে এতগুলো বছর পার করে এই প্ল্যাটফর্মের ভাঁড়ারে এখন বিনোদনের রসদ ঠিক কতটা তা আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না। এই নয় বছরের জার্নিতে বিশ্বের দরবারে সকলের কাছে ‘হইচই’ এক আলাদা জনপ্রিয়তা ও ভালোবাসা পেয়েছে। এবার বাঙালির আবেগ ও রীতিনীতি সকলের কাছে নতুন মোড়কে পৌঁছে দেবে এই মাধ্যম। ইতিমধ্যেই নতুন লোগো লঞ্চ হয়েছে হইচই ওয়েব মাধ্যমের। আর এবার ‘বোল্ডলি বাঙালি’র হাত ধরে এই নতুন পথচলায় নিজেদের আবেগ-ভালোবাসা ভাগ করে নিলেন ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠপুত্র প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আবির চট্টোপাধ্যায় ও সন্দীপ্তা সেন প্রমুখ।
প্রসেনজিৎ বলেন, “হইচই বিশ্বের দরবারে বাঙালির পরিচিতি ও তাঁদের অন্যভাবে তুলে ধরেছে। হইচইয়ের হাত ধরে সবার কাছেই এখন বাঙালির বিনোদন ও সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ভীষণভাবে পরিচিত। বাঙালি হিসেবে ভীষণ গর্ব বোধ করছি।” আবির চট্টোপাধ্যায় হইচইয়ের এই জার্নি নিয়ে বলেন, “শুধু বাঙালিরাই নন, একইসঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছ থেকেও সমানভাবে ভালোবাসা পাচ্ছে হইচই। শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত হইচই যেভাবে ডানা মেলে উড়েছে তা সত্যিই অবর্ণনীয়।” অন্যদিকে সন্দীপ্তা সেন বলেন, “আজ হোক বা অতীতে বাঙালিরা সব সময়ই একটু বেশিই বোল্ড। এই যেমন ধরুন না আমি। আমি বিয়েতে বেনারসির সঙ্গে স্নিকার্স পরেছি। এরকম ভাবনাচিন্তা, ছকভাঙা নানা বিষয় একমাত্র বাঙালিই ভাবতে পারে। আর এক্ষেত্রে সেই বিশপ্যকে কয়েককদম এগিয়ে দিয়েছে যেন হইচই।”