• শেষপাতে ডিম পরিবেশন, সেই অশান্তিতে প্রাণ চলে গেল এক যুবকের?
    এই সময় | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের পরে সকলে মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়ার প্ল্যান হয়েছিল। পাড়ার সকলে মিলে আনন্দ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। অথচ, খাবারের পাতে ডিম দেওয়া নিয়ে অশান্তি। আর সেই ঝামেলা হয়ে উঠল প্রাণঘাতী! শুক্রবার রাতে কামারপুকুরে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, স্থানীয় এক ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জনের পরে খাওয়াদাওয়া ছিল। সেখানেই অশান্তি শুরু হয়। মারধরের জেরে মৃত্যু হয় রামচন্দ্র ঘোষাল নামে এক ব্যক্তির। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, ক্লাবের খাওয়াদাওয়া পর্বের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।

    বিসর্জন মিছিলে অংশ নেওয়ার পর ক্লাব প্রাঙ্গণে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, খাওয়া শেষে ডিম পরিবেশন নিয়ে শুরু হয় বচসা। সেই বচসা মুহূর্তেই তীব্র রূপ নেয়। এর পরে একদল ব্যক্তি রামচন্দ্র ঘোষালকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। মারধরের সময় তাঁর ঘাড়ের কাছে গুরুতর আঘাত লাগে। তাতেই মৃত্য়ু বলে দাবি পরিবারের।

    এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে ঘোষাল পরিবার। রামচন্দ্রের মা বলেন, ‘শুনলাম ডিম খাওয়া নিয়ে ঝামেলা। সেই ঝামেলায় ছেলেটা আমার চলে গেল? এখন আর আমি কিছুই চাই না। আমার ছেলেটাকে ফিরিয়ে দিন।’

    অভিযোগ, এ দিন খাওয়ার শেষে ডিম দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়। এর পরেই রামচন্দ্রকে মারধর করা হয়। পরে কামারপুকুর লাহাবাজার মোড়ের কাছে ফের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেখানেই অচৈতন্য অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পরে বাড়ির লোকজন গিয়ে দেখেন, ছেলের শরীরে প্রাণ নেই। খবর পেয়েই গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ক্লাবের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে ক্লাবের কোনও সম্পর্ক নেই।

    ক্লাবের সেক্রেটারি আশিস দে বলেন, ‘কী হয়েছে, আমি জানি না। আমি সেখানে ছিলামও না। তবে ক্লাবের খাওয়াদাওয়া সেরে সকলে চলে যায়। তার পরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিসর্জনের পরে খাওয়া হয়। সকলে ভালো ভাবেই খাওয়াদাওয়া করে। ক্লাব চাবি দিয়ে সকলে চলে যান। তার পরে এই ঘটনা।’

  • Link to this news (এই সময়)