দিব্যেন্দু সরকার: ক্লাবে তিনটি ডিম খাওয়ায় বচসা। পিটিয়ে খুন যুবককে। কামারপুকুর পুলিস ফাঁড়ি ও মঠের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে খুনের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়। যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিস একজনকে আটক করেছে।
জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন উপলক্ষে ক্লাবে চলছিল খাওয়া দাওয়া। সেই সময় সামান্য ডিম খাওয়া নিয়ে দুই বন্ধুর বচসা। তার জেরে বন্ধুর হাতে খুন হলেন আর এক বন্ধু। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। শুক্রবার গভীর রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল গোঘাটের কামারপুকুরে। পাশাপাশি পুলিস ফাঁড়ি থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে এহেন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। যদিও ঘটনায় অভিযুক্ত বন্ধুকে আটক করেছে গোঘাট থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠে রঘুবীরের পূজারী তারক ঘোষালের একমাত্র পুত্র রামচন্দ্র ঘোষাল। মৃতের নাম রামচন্দ্র ঘোষাল(২৬)। জানা গিয়েছে, কামারপুকুরের লাহাবাজারে একটি ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন ছিল। রাতে বিসর্জনের পর ক্লাবের সামনে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিল। সেখানে অন্যদের রাখা ডিম খেয়ে ফেলে রামচন্দ্র। তারপরেই রামচন্দ্রের সঙ্গে কয়েকজনের বচসা হয়। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় ফের বচসা শুরু হয়।
তখনই রাজু মাইতি নামে এক বন্ধু রামচন্দ্রকে প্রতিবন্ধী এক বন্ধুর স্ক্যাচার দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে ও মারতে মারতে কামারপুকুরে শ্রীধাম প্রতীক্ষালয়ে নিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
এদিকে যেখানে বচসা চলছিল, তার কয়েক মিটারের মধ্যে রয়েছে পুলিস ফাঁড়ি। কয়েক মাস আগেই হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য একাধিক সিসিক্যামেরার উদ্বোধন করেন। একদিকে সেই ক্যামেরার সামনে অন্যদিকে কয়েক মিটারের মধ্যে পুলিস ফাঁড়ি ও শ্রী রামকৃষ্ণ মঠ তারপরও এই ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ঘটনার পর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস। অভিযুক্তকে আটক করে চলছে তদন্ত।