‘বিশ্ব মঞ্চে ভারত এখন এক মহাশক্তি’, আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্পে বার্তা যোগীর
প্রতিদিন | ০১ নভেম্বর ২০২৫
হেমন্ত মৈথিল, গোরক্ষপুর: গোরক্ষপুরের যোগীরাজ বাবা গম্ভীরনাথ অডিটোরিয়ামে স্যামসাং ইনোভেশন ক্যাম্পাসের এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট বিতরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দীন দয়াল উপাধ্যায় গোরক্ষপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১,৩০০ জন শিক্ষার্থীকে এ দিন শংসাপত্র দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শক্তিশালী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলেই ভারত আজ বিশ্ব মঞ্চে এক বৃহৎ শক্তি হিসেবে উঠে আসছে। তিনি ২০১৪ সালের আগের পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, তখন দুর্নীতি ও দুর্বল বৈশ্বিক পরিচয়ের কারণে দেশের অস্তিত্ব সংকটে ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ‘ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার’-এর মাধ্যমে ভারত আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে চতুর্থ স্থানে পৌঁছে গেছে।
যোগী আদিত্যনাথ শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘Startup India’ ও ‘Digital India’-এর মতো উদ্যোগগুলি মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, NEP 2020-এর লক্ষ্য পূরণে উত্তরপ্রদেশ সরকার টাটা টেকনোলজিসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ১৫০টিরও বেশি আইটিআই-এর শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যোগী বলেন, যে সমাজ সরকারের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল, তা দুর্বল। নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলে এগিয়ে যাওয়াই অন্যকে পথ দেখাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, যুবকদের স্বনির্ভর করতে রাজ্য সরকার ১,০০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছে। সেইসঙ্গে ‘স্বামী বিবেকানন্দ যুব ক্ষমতায়ন যোজনা’র মাধ্যমে ২ কোটি যুবককে ট্যাবলেট ও স্মার্টফোন দেওয়া হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ভারতে উৎপাদিত মোট মোবাইলের ৫৫% এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ৬০% উত্তরপ্রদেশে তৈরি হয়। বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী সংস্থা স্যামসাং উত্তরপ্রদেশকে তাদের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ফর প্রোডাকশন’ হিসেবে বেছে নিয়েছে।
স্যামসাং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও সিইও জেবি পার্ক উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, উত্তরপ্রদেশ দ্রুত গ্লোবাল ইনোভেশন হাবে পরিণত হচ্ছে। তিনি জানান, স্যামসাং এই বছর রাজ্যে ৫,০০০ যুবককে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান যোগী। তিনি বলেন, যে দেশ উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর জোর দেবে, তারাই বিশ্বশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।