সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে হিন্দু জাতির সংশাপত্র, নাগরিকত্ব বিক্রি হচ্ছে বনগাঁর ঠাকুরনগরে! বিজেপি এই ব্যবসা শুরু করেছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় বিজেপি সাংসদ, কেন্দ্রের জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর! ২০ টাকার বিনিময়ে ফর্মফিলাপ, ৮০০ টাকায় মিলছে নাগরিকত্ব! এমনই অভিযোগ তুলল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে মুনাফা লোটার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির, সেই দাবিও তুলেছে রাজ্যের শাসক দল।
নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে মতুয়াদের একটা অংশ সমস্যায় পড়তে পারেন! সেই কথা প্রচার চলছে বিভিন্ন মহলে। বনগাঁয় সিএএ ক্যাম্প খুলে মোটা টাকার বিনিময়ে হিন্দু জাতির সংশাপত্র দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বহু মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়ে সেই ক্যাম্পে হাজির হচ্ছেন বলেও খবর। এবার বাংলায় এসআইআরের কাজ শুরু হয়েছে। এসআইআর হলে বহু মতুয়া ভোটারের নাম বাদ যাবে। সেই আশঙ্কার কথাও ছড়িয়েছে। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর টাকার বিনিময়ে নাগরিকত্ব দিচ্ছেন, সেই অভিযোগ উঠেছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, মতুয়াদের বিশ্বাস, আশা, মর্যাদাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। ৮০০ টাকায় নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সেই ফর্মফিলাপ করার জন্য মাথাপিছু ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে! রেটকার্ড ঝুলিয়ে ধর্মের নামে প্রতারণা, নাগরিক পরিচয়ের নামে ‘ব্যবসা’ ফাঁদা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর ভাই বিজেপি নেতা সুব্রত ঠাকুর এর পিছনে আছেন বলে অভিযোগ। যে আইন নিয়ে বছরভর বিভাজনের রাজনীতি চলছে, সেটিকেই ‘ব্যবসা’র উপকরণ বানানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। ভোট রাজনীতিতে মুনাফা লুটে নেওয়াই বিজেপির আসল উদ্দেশ্য, সেই অভিযোগও তৃণমূলের তরফে করা হয়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে সামাজিক মাধ্যমে এদিন বার্তাও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, ‘নাগরিকত্ব এখন বিক্রির জিনিস! ঠাকুরনগরে নতুন ব্যবসা চলছে বিজেপির। ২০ টাকায় ফর্মপূরণ, ৮০০ টাকায় নাগরিকত্ব! একেবারে রেটকার্ড ঝুলিয়ে চলছে ধর্মের নামে প্রতারণা, নাগরিক পরিচয়ের নামে ব্যবসা— এটাই কি “ডবল ইঞ্জিন উন্নয়ন”?’
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ঠাকুরনগরে সিএএ শিবির চলছে, সেখান থেকে সংশাপত্র টাকার মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে অভিযোগ পাঠিয়েছেন বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। শান্তনু ঠাকুরের মতুয়া মহা সংঘের পক্ষ থেকেও এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।