জন্মের শংসাপত্র জোগাড়ে দীর্ঘ লাইন, আশ্বস্ত করলেন মেয়র
প্রতিদিন | ০১ নভেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: এসআইআর আতঙ্ক! তার জেরে কলকাতা পুরসভায় বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য লম্বা লাইন। আতঙ্কিত আবেদনকারীদের আশ্বস্ত করতে শুক্রবার লাইনে গিয়ে কথা বলেছেন স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকেও এই ঘটনার উল্লেখ করেন মেয়র। দলের সেনাপতিকে তিনি জানান, “আতঙ্কিত আবেদনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেছি, ভয় পাবেন না, পাশে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈধ ভোটারদের নাম তুলতে তৃণমূল সমস্ত রকম সাহায্য দেবে।”
ভোটার পরিচয়পত্রের জন্য যে এগারোটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তার একটি জন্মের শংসাপত্র। ২০০২ সালের ভোটার হিসাবে যাঁদের নাম নেই, তাঁদের রক্ষাকবচ বার্থ সার্টিফিকেট। ঘটনা হল প্রায় সব কাজ ফেলে শুধুমাত্র জন্মের শংসাপত্র সংগ্রহ করতে কলকাতা পুরসভায় গত দু’দিন ধরে দীর্ঘ লাইন। সকাল থেকে পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনে হাজির হয়েছেন সদ্য চল্লিশ বা তার বেশি বয়সি আম জনতা। কারও বাড়ি উত্তর কলকাতায়, কারও মুর্শিদাবাদে। লালগোলা থেকে কলকাতায় এসেছেন আনিসুর রহমান। হাতে এক টুকরো কাগজ। ইডেন হাসপাতালের নাম, শিশুর নাম ও জন্ম তারিখ বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু স্ট্যাম্প অস্পষ্ট। সকাল আটটা থেকে পুরসভার ৬ নম্বর গেটে লাইন দিয়েছেন।
মেয়র বলেন, “জন্ম সার্টিফিকেট নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এতদিন ইডি, সিবিআই দিয়ে আমাদের ভয় দেখিয়েছে। এখন মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে।” পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. রণিতা সেনগুপ্তর কথায়, “আচমকা বার্থ সার্টিফিকেট সংগ্রহের প্রবণতা বেড়েছে। পুরসভার বর্তমান পরিকাঠামোয় গড়ে রোজ ৪৫০টি বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু করার ক্ষমতা আছে।” তাঁর কথায়, যেসব নথি জমা পড়ছে বেশিরভাগ ৫০-৫৫ বছরের পুরনো। কতটা উদ্ধার করা সম্ভব সংশয় আছে।