• কেন বেঘোরে গেল ১০টি প্রাণ? ‘মিনি তিরুপতি’-র প্রতি পদেই ছিল বিপর্যয়ের রেসিপি
    এই সময় | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামের ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। সংবাদ সংস্থা PTI জানিয়েছে প্রাণ গিয়েছে ১০ জনের। আরও বহু আহত মানুষকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্ন: কী কারণে ঘটল এই দুর্ঘটনা? এতগুলি প্রাণ যাওয়ার দায় কার?

    অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের এক সূত্র জানিয়েছে, মুকুন্দ পান্ডা নামে ৮০ বছরের এক ব্যক্তি তাঁর ব্যক্তিগত জমিতে এই মন্দিরটি তৈরি করেছেন। মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে তিরুমালার বিশাল ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরের আদলে। তাই এই মন্দির অল্প সময়েই ওই এলাকায় ‘মিনি তিরুপতি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

    মাত্র চার মাস আগেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল এই মন্দিরের দরজা। আর প্রদান সমস্যা ছিল এই দরজাতেই। আশ্চর্যজনক ভাবে এই মন্দিরের প্রবেশ ও প্রস্থানের দরজা মাত্র একটিই। ওই দরজার পরে রয়েছে একটি সরু পথ। এতটাই সরু যে চলাফেরার সুবিধার জন্য পাশে হ্যান্ডরেল লাগাতে হয়েছে।

    অন্যান্য দিন ভিড় কম থাকে। তাই দরজা বা ওই সরু পথ নিয়ে এতদিন পর্যন্ত কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। তবে, শনিবার একাদশী পুজোর জন্য প্রচুর ভক্ত সমাগম ঘটেছিল মন্দিরে।

    অন্ধ্রপ্রদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রী অনম রামনারায়ণ রেড্ডি জানিয়েছেন, ওই মন্দিরে খুব বেশি হলে ৩,০০০ লোকের জায়গা হয়। এ দিন একাদশী পুজো থাকায় সেখানে একসঙ্গে প্রায় ২৫,০০০ লোকের সমাগম ঘটেছিল।

    সরকারি সূত্রটি জানিয়েছে, ভিড় সামলাতে মন্দির কর্তৃপক্ষ নিজেরা কোনও ব্যবস্থা করেনি, সরকারকে কোনও তথ্যও দেয়নি। একাদশীর পুজো উপলক্ষে যে এত মানুষের ভিড় হতে পারে, সেই সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে আগে জানালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিকল্পনাই করা হতো, ব্যবস্থাও করা হতো।

    মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছেন, ‘পুলিশ আগে থেকে জানলে ভিড় সামলানোর পরিকল্পনা করতে পারত। ঘূর্ণিঝড় মান্থার সময়ে তারা তা দেখিয়ে দিয়েছে। অনেক প্রাণহানি আমরা এড়াতে পেরেছি।’

  • Link to this news (এই সময়)