• SIR-এর বিরুদ্ধে আমরণ অনশনে মতুয়াদের একাংশ, অভিবাসন আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মমতাবালা
    এই সময় | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • একদিকে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন, অন্যদিকে সংশোধিত ‘অভিবাসন ও বিদেশি নাগরিক’ আইন। দু’টি বিষয়ের বিরুদ্ধেই জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামছে মতুয়াদের একাংশ। নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। SIR-এর প্রতিবাদে ৫ নভেম্বর থেকে আমরণ অনশনে বসতে চলেছেন মমতাবালাপন্থী মতুয়ারা। অন্যদিকে শনিবারই সংশোধিত ‘অভিবাসন ও বিদেশি নাগরিক’ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দাখিল করলেন তিনি।

    শনিবার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মমতাবালা। তাঁর দাবি, SIR-এ পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষের নাম বাদ যাবে। তাঁদের বড় অংশ মতুয়া সম্প্রদায়ের। তাঁর আরও দাবি, ২০০২-এর ভোটার তালিকার সঙ্গে সাম্প্রতিক ভোটার লিস্ট মেলালে দেখা যাচ্ছে ২০০২ সালে অধিকাংশ মতুয়ার নাম নেই। তাই SIR-এর পরে প্রভূত ক্ষতির মুখে পড়বেন মতুয়ারা।

    মমতাবালা এ দিন বলেন, ‘বিগত দিনে বাংলাদেশ থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ ভারতে এসেছেন। তাঁদের নাম বাদ পড়েছে। যে ১১টি নথি চাওয়া হচ্ছে, তা অধিকাংশ মানুষের কাছে নেই। তাঁরা কী ভাবে দেখাবেন নথি? এই প্রক্রিয়া মতুয়ারা মানবে না। তাই সকলে আমরণ অনশনে পথ বেছে নিতে চলেছে।’

    অন্য দিকে, গত এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতি মেলার পরে সংশোধিত ‘অভিবাসন ও বিদেশি নাগরিক’ আইনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। বিলটি বাজেট অধিবেশনেই সংসদে পাস করানো হয়েছিল। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কোনও বিদেশি ‘বিপজ্জনক’ বলে চিহ্নিত হলে তাঁর এ দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারে অভিবাসন দপ্তর। ওই বিদেশিকে ফেরানোর দায় থাকবে না ভারতের। এমনকী সমস্ত দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও বাড়ির মালিকদের তাঁদের সংস্পর্শে আসা বিদেশিদের সবিস্তার তথ্য প্রশাসনকে নিয়মিত দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

    শনিবার এই নয়া আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দাখিল করেন মমতাবালা ঠাকুর। তাঁর দাবি, এই নতুন আইন সংবিধান বিরোধী। এই আইনের একাধিক ধারা সাধারণ মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মতুয়া উদ্বাস্তুরা সমস্যায় পড়ছেন।

  • Link to this news (এই সময়)