ছাব্বিশের ভোটের আগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের ঋণ দিতে তৎপর নবান্ন
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ নভেম্বর ২০২৫
ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির প্রতি জোর দিতে চাইছে নবান্ন। সেই লক্ষ্যে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দ্রুত ঋণ পাইয়ে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক যৌথ উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দ্রুত ঋণ দেবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এর ফলে গ্রামীণ বাংলার আর্থিক কাঠামো আরও মজবুত হবে এবং স্বনির্ভর মহিলাদের কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে আরও প্রসারিত হবে বলে মত প্রশাসনের একাংশের। সেই সঙ্গে আগামী বছর গ্রামীণ ভোট পেতেও শাসকদলের সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার এবং স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স সাব-কমিটির যৌথ উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিষয়ক একটি পর্যালোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের আধিকারিক এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কর্তাব্যক্তিরা। গত এক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ বৃদ্ধি করা হয়েছে তবে কিছু জেলায় এখনও তা গতি পাইনি। সে সব ক্ষেত্রে গতি আনার কথা বৈঠকে উঠে আসে। ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয় তৈরি করে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দ্রুত ও সহজ ঋণদান নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। সেই সঙ্গে ঋণপ্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও ডিজিটাল করতে বিশেষ পরিকাঠামো গড়ে তোলার কথাও ভাবা হচ্ছে।
গত ১৪ বছরে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মসূচিগুলির মাধ্যমে গ্রামের মহিলাদের আত্মনির্ভর করার প্রয়াস চালিয়েছেন। এই পদক্ষেপ সেই ধারাবাহিকতাকেই আরও জোরদার করবে, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বৃহৎ অংশের মহিলারা উপকৃত হয়েছেন। তার প্রভাব পড়েছে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে। গ্রামীণ মহিলাদের বেশির ভাগই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। নির্বাচনের আগে যদি গ্রামীণি মহিলারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পায় তাহলে আখেরে লাভ হবে শাসকদল তৃণমূলের বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
সারা বছরই রাজ্য সরকার ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ প্রদান করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার জন্য। ভোটের আগে এবার সেই প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর ও দ্রুততর করতে চাইছে শাসকদল। যাতে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছোয় এবং ছাব্বিশের ভোটে তার ফল মেলে।