• জগন্নাথ সরকারের ‘সীমান্তহীন ভারত’ মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজনৈতিক ঝড় তুললেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘বিজেপির ভণ্ডামি এবার নতুন নিচুস্তরে পৌঁছেছে।’

    রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। সীমান্ত ইস্যু রাজ্য রাজনীতিতে নতুন নয়। তবে সাংসদের মুখ থেকে ‘সীমানাহীন ভারত’-এর উল্লেখ বিরোধীদের হাতে কার্যত নতুন অস্ত্র তুলে দিয়েছে।

    শুক্রবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের গেদে সীমান্ত সংলগ্ন মাটিয়ারি বানপুর পঞ্চায়েতে এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এদিন দলের একটি কর্মসূচিতে জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘বাংলা ভাগ হবে না, এক হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া থাকবে না। দুই দেশ আবার এক হয়ে যাবে।’

    মুহূর্তে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, এ বক্তব্য ভারতীয় সংবিধানের মর্যাদা ও দেশের অখণ্ডতার পরিপন্থী। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির প্রকৃত মনোভাবই এখন নেতাদের মুখে ফাঁস হচ্ছে, যা দেশের সীমান্ত রাজনীতি নিয়ে তাদের প্রচারকে বড় প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

    শনিবার সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘একদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গকে সীমান্ত সুরক্ষায় ব্যর্থ বলে আক্রমণ করছেন। অন্যদিকে তাঁদেরই সাংসদ সীমান্ত তুলে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন! এটি দেশপ্রেম নয়, রাজনৈতিক প্রতারণা।’

    অভিষেকের দাবি, বিজেপি যদি সত্যিই ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতায় বিশ্বাস করে, তবে অবিলম্বে জগন্নাথ সরকারকে বরখাস্ত করতে হবে। তা না হলে স্পষ্ট হবে, শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতিক্রমেই এই মন্তব্য করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতেই বিজেপি এসআইআর প্রকল্পের আড়ালে নতুন রাজনীতি শুরু করেছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)