• SIR-এ 'মতুয়াদের ৯৫ শতাংশ নাম কাটা যাবে!', আমরণ অনশনে মমতাবালা
    ২৪ ঘন্টা | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • মনোজ মণ্ডল: স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিউ অর্থাত্ SIR শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজ্যের মতুয়ারা। এরকম এক পরিস্থিতিতে স্যার প্রত্যাহারের দাবিতে আমরণ অনশনের ডাক দিলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তাঁর আশঙ্কা উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলায় যাদের নাম বাদ যাবে তাদের অর্ধেকের বেশি হতে পারেন মতুয়ারা। তাঁর  বক্তব্য, যদি দেড় কোটি মানুষের নাম বাদ যায় তাহলে এক কোটিই মতুয়া হবেন।  প্রায় ৯৫ শতাংশ মতুয়া ভোট কাটা যাবে।

    তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের তরফে SIR ঘোষণার পর থেকেই উদ্বাস্তু ও মতুয়া সমাজের একাংশ সিএএ (CAA)-এর ফর্ম পূরণের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রে ছুটছেন। ঠাকুরবাড়ি এলাকায় প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে দীর্ঘ লাইন। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই অস্পষ্টতা এবং আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে সমাজের বৃহৎ অংশে।

    মমতা ঠাকুরের অভিযোগ, “SIR নামের এই পরিকল্পনা সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার আরেকটা ফাঁদ। যারা সিএএ-র নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে, এটা পুরোপুরি একটা ‘ইনকামের রাস্তা’। এই টাকা সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাচ্ছে।”

    মমতাবালা বলেন, মতুয়া ভোট প্রচুর আছে। ২০০২ সাল যদি ধরে তাহলে আমি মনে করি যদি দেড় কোটি লোক বাদ পড়ে তাহলে ১ কোটিরও বেশি লোক আমাদের বাদ পড়বে। ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। শান্তনু ঠাকুর বলেছেন নাম যদি কেটে যায় তাহলে সিএএ-তে আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। যে ১১টা ডকুমেন্ট লাগবে তা শান্তনু ঠাকুর বানিয়ে দিক! কেন্দ্রের উদ্দেশ হল বাংলাদেশি সিলটা মারবে। তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শান্তনু ঠাকুরের উপরে। 

    নির্বাচন কমিশন দেশের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে বাংলাতেও এসআইআর করছে। তাদের দেখা যাচ্ছে যারা ওপার বাংলার মানুষ ও মতুয়ারা, তাদের ভোটাধিকার থাকবে না। তাই ওপার বাংলার মানুষ ও মতুয়াদের জন্য আমাদের লড়াই। অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ আজ মিটিং করে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৫ নভেম্বর থেকে ঠাকুরবাড়িতে বড়মার ঘরের সামনে আমরণ অনশন করব। যাদের দুই জায়গায় ভোট রয়েছে তাদের ভোট কেটে যাক তা আমরা চাই। কিন্তু এতদিন আমাদের ভোট নেওয়া হল তারপর যদি বলা হয় জন্ম সার্টিফিকেটে না থাকলে নাগরিকত্ব থাকবে না। তাহলে সেখানে দাঁড়িয়ে আমাদের ভবিষ্যত কী? যাদের এখানে ভোটাধিকার রয়েছে তাদের ভোটাধিকার বাজায় রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশন কেন আমাদের ভোটাধিকার দিল, কেনই আমাদের ভোট নিয়ে এখন বলছে এসব ঠিক নয়! এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। যে কোনও সংগঠন যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায় তাহলে আসতে পারে। 

    শান্তনু ঠাকুরের দাবি, স্যার-এ নাম কেটে গেলে সিএএ-তে নাম উঠে যাবে। এনিয়ে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, এসব ভাঁওতা, মিথ্যে। মানুষকে এরা কত ঠাকাবে! ওঁর তো লড়াই কথা উচিত ছিল যেন ভোটটা না কাটে। একবার ভোটার লিস্ট থেকে নাম কাটলে আর তা তোলা যায়? সে কী দিয়ে সিএএ-তে আবেদন করবে। তাহলে ১১টা ডক্যুমেন্ট চাইছে কেন? ২০০২ সালের পর যদি হিসবে ধরা হয় তাহলে অর্ধেক ভোট বাদ হয়ে যাবে। তার জন্যই আমাদের আন্দোলোন। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)