জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া? উত্তরবঙ্গ জুড়ে যেরকম বৃষ্টি-বিপর্যয় চলছে তাতে আঁতকে ওঠার মতোই পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, গাল্ফ অফ থাইল্যান্ডের (Gulf of Thailand) ঘূর্ণাবর্ত (Cyclonic System) ক্রমশ এক নিম্নচাপে (Depression) পরিণত হবে। এটি এখন উত্তর আন্দামান সাগরের (Andaman Sea) মায়ানমার উপকূলে রয়েছে। পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) সিস্টেমের জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপ। এর জেরে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির আশঙ্কা! কিন্তু কেমন আছে উত্তরবঙ্গ? দার্জিলিংয়ের আবহাওয়াই-বা কেমন?
শিলিগুড়িতে বৃষ্টি
গত দিনকয়েকের তুলনায় আজ, শনিবার বৃষ্টির মাত্রা অনেকটাই কম। পাহাড় এবং শিলিগুড়ি মহকুমায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পড়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ি তিস্তা, মহানন্দা ও বালাসনে জলস্ফীতি গতকালকের তুলনায় আজ অনেকটাই কমেছে। গতকালের মতো আজও বন্ধ রয়েছে সিংগালিলা ন্যাশনাল পার্ক-সহ পাহাড়ি বিভিন্ন ট্রেকিং রুট ও প্যারাগ্লাইডিং। সবক্ষেত্রেই বাড়তি নজরদারি রয়েছে প্রশাসনের। নতুন করে ধসের কোনো খবর নেই। যানচলাচলও স্বাভাবিক
মালবাজারে
গতকালের পর আজ, শনিবারও মালবাজার মহকুমা জুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত। যদিও ভারী বর্ষণ নয়, একটানা রিমঝিম বৃষ্টি ভিজিয়ে রেখেছে গোটা এলাকা। টানা দুদিন ধরে চলা এই বৃষ্টির ফলে চেল, ঘীস ও লীস নদীতে তেমনভাবে জল বৃদ্ধি না হলেও শহর ও আশেপাশের এলাকায় রাস্তাঘাট এবং বাড়িঘরের পাশে বৃষ্টির জল জমে রয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম দেখা যাচ্ছে। এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে গোটা এলাকায় তাপমাত্রা কিছুটা নেমে গিয়েছে, ফলে এখন মালবাজার মহকুমা জুড়ে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ।
দার্জিলিংয়ে
গত তিন দিন ধরে দার্জিলিং পাহাড়ে ক্রমাগত বৃষ্টিপাত চলছে। গতকাল রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার কারণে শহর প্রায় ফাঁকা ছিল। ভয়ে রাস্তায় বা শহরে খুব কমসংখ্যক যানবাহন ও মানুষ দেখা গিয়েছে। তবে আজ শনবার সকাল ১০টার পরে শহরে গতকালকের তুলনায় যান চলাচল ও লোকজনের আনাগোনা বেশি দেখা গিয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন NH110 ধরে শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ের দিকে এবং পাহাড় থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাতায়াত করে। কিন্তু গতকাল এই রাস্তায় ৯০% কম গাড়ি চলতে দেখা গিয়েছে। এমনকি স্থানীয় লোকজনও বাইরে বেরোননি।
সিকিমে তুষারপাত
অন্য দিকে, গতকালের মতো শনিবারও সিকিমের লাচুং, লাচেন থেকে শুরু করে নাথুলার বিস্তীর্ণ এলাকা তুষারের চাদরে ঢেকে রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে ভয়াল বৃষ্টি
শনিবারের বিকেলের আবহাওয়াখবর থেকে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের ৬৭টি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িটি জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছিল ১৮৬ মিলিমিটার। ডেঙ্গুয়াঝাড় টি গার্ডেনে এই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে ১৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে এখনও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। আগামীকাল, রবিবার সকালের মধ্যে ভারী বৃষ্টি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায়। রবিবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে। তবে সোমবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়া; পরিষ্কার আকাশ।