বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ভাইয়ের পর বোন। রাহুলের পর প্রিয়াঙ্কা। তিনদিনের ঝটিকা সফরে বিহারে প্রচার চালিয়ে ফিরে যান রাহুল গান্ধী। ভাইয়ের পর শনিবার প্রচারে নেমে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে নিশানা করেন প্রিয়াঙ্কা। বিহারের বেগুসারাইতে এক জনসভায় তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের ইশারায় কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বহু বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিয়েছে। অন্যদিকে, এদিন সাত সকালে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে রাজ্যবাসীর সমর্থন চাইলেন নীতীশ কুমার। জনতা দল ইউনাইটেড সূত্রের খবর, এই প্রথম নীতীশ কুমার ভিডিও বার্তাকে ভোট প্রচারের অঙ্গ করলেন। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করেন, অন্য কেউ নন বৃদ্ধ লালু যাদবই তাঁর আসল প্রতিদ্বন্দ্বী।
বিহারে বিশেষ নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন লোকসভার বিরোধী দল নেতারা রাহুল গান্ধী। তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া বেশ কিছু ভোটারকে হাজির করে কমিশনকে নিশানা করেন তিনি। বিজেপি ও কমিশন জোট বেঁধেছে বলেও অভিযোগ করেন। রাহুলের বেঁধে দেওয়া সুরেই বিজেপি ও কমিশনকে নিশানা করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধনের মাধ্যমে বহু বৈধ ভোটার বাদ গিয়েছেন। তারা এবার ভোট দিতে পারবেন না। বিজেপি হেরে যাওয়ার ভয়েই কমিশনকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার।
অন্যদিকে, শনিবার সকালে প্রচারিত ভিডিওতে নীতীশ তাঁর সরকারের সময়ে বদলে যাওয়া বিহারের ছবি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “২০০৫ এ পাকাপাকিভাবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সংকল্প করেছিলাম গোটা বিশ্বে বিহার ও বিহারবাসীর মান-মর্যাদা রক্ষা করব। আর সেজন্য দরকার ছিল রাজ্যের উন্নয়ন।” নীতীশ বলেছেন, “এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে আমার সরকার উন্নয়ন করেনি।”
প্রসঙ্গত বিহারের নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ জোট সঙ্গী বিজেপি নেতারাও নীতীশকে বিহারের উন্নয়নের কাণ্ডারী হিসেবে তুলে ধরছেন। মোদী বিহারে তাঁর আগের সভায় বলেছেন, নীতীশবাবুর তুলনা হয় না। তিনি বিহারকে বদলে দিয়েছেন। আমরা জানি বিহার কী ছিল। শনিবার সকালে ভিডিও বার্তায় নীতীশ দুই বিহারে ছবি তুলে ধরেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ১৫ বছর রাজ্য শাসন করেছেন লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী। সেই ১৫ বছর বিহার কেমন ছিল তিনি উল্লেখ করেছেন ভিডিও বার্তায়। পাশাপাশি তুলে ধরেছেন আজকের বিহারের চিত্র।