‘সন্ত্রাসবাদ, মাওবাদ এখন নিয়ন্ত্রণে’, মোদি শাসনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অজিত ডোভাল!
প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সন্ত্রাসবাদকে বেঁধে ফেলা হয়েছে শক্তহাতে। দেশ থেকে মুছে যাচ্ছে লাল সন্ত্রাস। ২০১৪ সালের পর দেশের শাসনব্যবস্থার উত্তরোত্তর উন্নতি হয়েছে।’ এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নাম না করে বিজেপি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
শুক্রবার সর্দার প্যাটেলের জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ডোভাল বলেন, “এটা কোনওভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই, ভারতে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের উপর লাগাম পরানো হয়েছে। দেশে সর্বশেষ বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল ২০১৩ সালে। তার আগে শেষ বড় হামলা ছিল ২০০৫ সালের ১ জুলাই। একমাত্র জম্মু ও কাশ্মীর ছাড়া গোটা দেশের আর কোনও জায়গায় কোনও জঙ্গি হামলা হয়নি।” তিনি আরও বলেন, একটা সময় ছিল যখন দেশের শত্রুরা অবাধে ঘুরে বেড়াত। এখন নিরাপত্তা বিভাগ তাদের সবরকম ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।”
শুধু তাই নয়, মাওবাদের বিরুদ্ধেও বর্তমান সরকারের ঢালাও প্রশংসা করেন ডোভাল। বলেন, “২০১৪ সালের পর দেশে লালসন্ত্রাসও নেমে এসেছে মাত্র ১১ শতাংশে। আগে যেসব জেলাগুলিকে মাও-অধ্যুষিত হিসেবে দেখা হত তার বেশিরভাগ জেলাই এখন মাওবাদী মুক্ত। ভারত এমন এক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছে সেখানে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোনওরকম হুমকি তৈরি হলে যথাযত জবাব দিতে সক্ষম।” এখানেই না থেমে ডোভালের মুখে শোনা যায় চেনা সুশাসনের কথা। তিনি বলেন, “সুশাসনের জন্য প্রয়োজন নারী, প্রান্তিক গোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন।” আধুনিক শাসনব্যবস্থায় সে পথে ভারত বহুদূর এগিয়েছে বলে দাবি করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
তবে ডোভালের মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ উঠছে, নাম না নিলেও তাঁর ভাষণের পরতে পরতে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রশংসা। এবং অতীতের কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদি শাসনে গোটা দেশে নারী নিরাপত্তা তলানিতে নেমেছে, জাতপাতের ভিত্তিতে হত্যা লাগামছাড়া, চারিদিকে শুধু হিংসা ও বিদ্বেষের দাপট। সন্ত্রাসবাদে লাগাম টানার দাবি করা হলেও মোদি শাসনেই সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে দেশে। পহেলগাঁও, পুলওয়ামা হামলার ঘটনা তার প্রমাণ। এই অবস্থায় ডোভালের মুখে বিজেপি সরকারের স্তুতি চরম আপত্তিকর।