• শবরীমালা মন্দিরের সোনা চুরি, পুলিশের জালে এবার বোর্ডের প্রাক্তন আধিকারিক
    প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শবরীমালা মন্দিরের সোনা চুরির মামলার তদন্তে নেমে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি শবরীমালার ত্রাবাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ডের (টিডিবি) প্রাক্তন কর্তা সুধীশ কুমার। সোনা চুরিতে সুধীশ প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে হেফাজতে নেয় বিশেষ তদন্তকারী দল।

    পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বিগ্রহে যে সোনার পাত ছিল মন্দিরের নথিতে সেটিকে তামার পাত বলে উল্লেখ করেছিলেন সুধীশ। বোর্ডের শীর্ষ আধিকারিক হওয়ার সুবাদে এই কাজ করেন তিনি। সুধীশ ভালো করেই জানতেন ওই পাত সোনার। চুরি পর তা যাতে কারও সন্দেহে না আসে তার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হেরফের করেন অভিযুক্ত। বিষয়টি সামনে আসার পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। এই চুরির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তথা স্পনসর উন্নিকৃষ্ণন পট্টিকে নিয়োগ করেছিলেন সুধীশ। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে বোর্ডের আর এক প্রাক্তন আধিকারিক বি মুরারি বাবুকে। সবমিলিয়ে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হল ৩ জনকে।

    উল্লেখ্য, শবরীমালার গর্ভগৃহ ‘শ্রীকোভিল’-এর দেওয়াল এবং দ্বারপালকের মূর্তি থেকে সোনা চুরির অভিযোগে শোরগোল পড়েছে গোটা দেশে। এই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগ, ২০১৯ সালে যেখানে বিগ্রহের ওজন যেখানে ছিল ৪২ কেজি ৮০০ গ্রাম, সেটা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৩৮ কেজি ২৫৮ গ্রাম। সেই সময় টিডিবির আধিকারিক ছিলেন সুধীশ। জানা যায়, জুলাই মাসে সংস্কারের জন্য এই সোনার পাত খোলা হয়েছিল। এবং চেন্নাইয়ের একটি সংস্থায় পাঠানোর জন্য তা দেওয়া হয়েছিল উন্নিকৃষ্ণনকে। তবে ৩৯ দিন পর সোনা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছয়। সেখানেই দেখা যায় ৪.৫৪ কেজি সোনা কমে গিয়েছে।

    পুলিশের দাবি, নব্বইয়ের দশক থেকে এই বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত সুদীশ। ১৯৯৮-৯৯ সালের মধ্যে মন্দিরের মূর্তিতে যে গোল্ড প্লেটিং করা হয়েছিল তা তাঁর অজানা ছিল না। তারপরও মন্দিরের নথিতে সেই সোনাকে তামা হিসেবে দেখান অভিযুক্ত। সোনা এখনও উদ্ধার না হলেও তিন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই উদ্ধার করা হবে চুরির সোনা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)