• রাতের অন্ধকারে মাদক পাচারের চেষ্টা! তেহট্টে বাংলাদেশি মহিলা-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল বিএসএফ
    প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: রাতের অন্ধকারে মাদক পাচারের চেষ্টা! বাংলাদেশি মহিলা-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল ৫৬ নং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের আধিকারিকরা। ধৃত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ওই মহিলাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই মহিলার বিরুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে অবৈধভাবে মাদক-সহ বিভিন্ন দ্রব্য লেনদেন এবং বিভিন্ন কারবার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। 

    ধৃত দুজনের একজনের নাম মিনাজুল মণ্ডল এবং অন্যজনের নাম সেলিনা খাতুন ওরফে হাওয়া। ৫৬ নং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে সীমান্তে বড়সড় একটি মাদকদ্রব্য লেনদেন হবে। সেই খবর পাওয়া মাত্র নদিয়ার তেহট্ট থানার বিষ্টুগঞ্জ আউটপোস্ট থেকে পাচারকারীদের ধরার জন্য লেডি কনস্টেবল-সহ একটি টিম বের হয়। সূত্র মারফত খবর পেয়ে কাঁটাতারের ওপারে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে ওল্ড বিষ্টুগঞ্জ গ্রামের মিনাজুল মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি চালান বিএসএফ আধিকারিকরা। তল্লাশি চলাকালীন সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় Methaqualone লিকুইড, যার এক গ্রামের দাম ৫০০০ টাকা।

    শুধু তাই নয়, তল্লাশিতে ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর বাংলাদেশি নোট এবং ভারতীয় নোট উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে ধৃতদের কাছ থেকে মোট ১৮২৫০ টাকা উদ্ধার হয়। এছাড়াও কাটিং মেশিন, কিছু পরিমাণ রাসায়নিক, একটা মোবাইল ফোন যার মধ্যে দুটো সিম রয়েছে, একটা ভারতীয় এবং একটা বাংলাদেশের। একটা ছোট ওজন যন্ত্র। সব ধরে ভারতীয় মুদ্রায় যার বাজার মূল্য ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ২০১ টাকা। এরপরেই মিনাজুল মণ্ডল এবং বাংলাদেশি মহিলা ৩২ বছরের সেলিনা খাতুন ওরফে হাওয়াকে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ। জানা যায়, ধৃত ওই মহিলার বাড়ি বাংলাদেশের মেহেরপুর থানার বাজিতপুর গ্রামে। ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার রুজু করেছে বিএসএফ। এরপরেই তাঁদের তেহট্ট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উক্ত দু’জনকে তেহট্ট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)