জগদ্ধার্থী ঠাকুর দেখে ফিরেই আঁতকে উঠল ছেলে, ঘরের মধ্যে পড়ে মায়ের রক্তাক্ত দেহ!
প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন ছেলে। বাড়িতে ছিলেন একা বিধবা দিনমজুর মা। বাড়ি ফিরে ছেলে দেখতে পেলেন হাড়হিম ঘটনা। ঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন মা! পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তিনি মারা যান। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের রবীন্দ্রনগরে। মৃতার নাম শোভা বিশ্বাস। ঘটনাটিকে ‘খুন’ বলেই মনে করছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, শোভা বিশ্বাস তাঁর বছর ২৩-এর ছেলের সঙ্গে রবীন্দ্রনগর এলাকার ওই বাড়িতে থাকেন। মেয়ে মৌসুমী বিশ্বাস বিবাহসূত্রে ভীমপুর থানার নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে ছেলে অক্ষয় কৃ্ষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন। অনেকটা রাতে তিনি বাড়ি ফিরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দেখা যায়, মা শোভা বিশ্বাস ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
ছেলের চিৎকার-চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। গুরুতর জখম ওই মহিলাকে উদ্ধার করে প্রথমে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে ওই মহিলার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। ওই হাসপাতাল থেকে শোভাকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে ফেরার হয়। এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই মৃত্যু হয় ওই তাঁর।
পরে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় মৃতার পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা সকলের অগোচরে ওই ঘরে ঢুকেছিল। ধারাল, ভারী বস্তু দিয়ে ওই মহিলাকে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই কি এই খুন? নাকি ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? তদন্তকারীরা সেসব বিষয় খতিয়ে দেখছেন। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। শোকগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।