ভিনরাজ্যে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের! নেপথ্যে এসআইআর আতঙ্ক, দাবি পরিবারের
প্রতিদিন | ০২ নভেম্বর ২০২৫
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিমল সাঁতরা (৫৮)। পরিবারের দাবি, এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বলে দাবি। একই দাবি শাসকদল তৃণমূলেরও। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূল হাস্যকর কথা বলছে। এর মধ্যেই আজ শনিবার প্রশাসনের উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নবগ্রাম ওড়িশা পাড়ার বাড়িতে বিমল সাঁতরার দেহ আনা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার।
গত কয়েকদিন আগেই তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন বিমল সাঁতরা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সেখানে ধানকাটার কাজ করতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যেই বাংলায় এসআইআর ঘোষণা হয়েছে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত বিমলবাবু নিয়েছিলেন বলে দাবি। ছেলে বাপি সাঁতরা এদিন বলেন, “এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই বাবা আতঙ্কে ভুগছিলেন সব নথিপত্র রয়েছে কি না তা নিয়ে। সেই আতঙ্ক থেকেই বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেখানকার তাঞ্জাভুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়।” এর পর পরিবারের লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চান। প্রশাসনের তরফে দেহ ফিরিয়ে আনতে সবরম সহযোগিতা করা হয়। এদিন বিমানে তামিলনাড়ু থেকে দেহ কলকাতা বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে দেহ গাড়িতে করে বাড়ি আনা হয়।
বাড়িতে দেহ আনার পর সেখানে ছুটে যান জামালপুরের তৃণমূল বিধায়ক অলোক মাঝি সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। অলোক মাঝি বলেন, “এসআইআর নিয়ে সাধারণ গরিব মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্কের বাতারবরণ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করায় এখানকার গরিব মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।” বিধায়কের কথায়, ”ভিন রাজ্যে ধানকাটার কাজ করতে গিয়েছিলেন বিমল সাঁতরা। সেখানে এসআইআর নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন বলে বাড়ির লোকজন জানাচ্ছেন। সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেও পরিবারের লোকজনের কাছে শুনলাম।” এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা প্রধানচন্দ্র পাল বলেন, “হাস্যকর দাবি করছে তৃণমূল। কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলেও সেখানে এসআইআর দেখছে তৃণমূল। আর এসআইআর নিয়ে প্রকৃত ভারতীয়দের আতঙ্কের কিছু নেই। নির্বাচন কমিশন বার বার তা প্রচার করছে।”