রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ছাব্বিশের ভোটযুদ্ধের আগে জমজমাট ভারচুয়াল লড়াই! তৃণমূল ‘ডিজিটাল যোদ্ধা’ ঘোষণা করার পর পালটা বিরোধী প্রচারে শান দিতে ডিজিটাল মাধ্যমকে আরও সক্রিয় করে তুলছে গেরুয়া শিবির। শনিবার দলীয় বৈঠকে ‘নমো যুবা যোদ্ধা’ নামে কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হল। যার মূল লক্ষ্য, সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূল বিরোধী প্রচার আরও জোরদার করা। সেইসঙ্গে যুব প্রজন্মের হাতে আরও বেশি দায়িত্ব দেওয়া। সূত্রের খবর, আপাতত বাংলায় কাজ শুরু করছে ‘নমো যুবা যোদ্ধা’। যদিও গেরুয়া ব্রিগেডের শীর্ষ নেতাদের দাবি, ডিজিটাল মাধ্যমে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়ার জন্য নয়, সামগ্রিকভাবে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে এই নয়া কর্মসূচি।
দিন পনেরো আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সোশাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছিলেন নতুন কর্মসূচির। তার নাম ‘আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা’। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি, তা স্পষ্ট। সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, ‘আমাদের মাতৃভূমি, প্রিয় বাংলার অহংকার, ঐতিহ্য ধ্বংস করতে নেমেছে বহিরাগত বাংলা বিরোধী জমিদার বাহিনী। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারা ডিজিটাল মাধ্যমে মিথ্যা ছড়াচ্ছে। এবার তাই আমাদের যুদ্ধও শুরু হল ডিজিটাল মাধ্যমে। আমাদের উদ্দেশ্য, বাংলার সম্মান, অধিকার ফিরিয়ে আনা। তার জন্য যত দূর লড়তে হয়, লড়ব। সেই কারণে আমি শুরু করছি ‘আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা’ নামে এই ডিজিটাল কর্মসূচি।’ তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যেই সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এবার নভেম্বর পড়তে না পড়তেই বঙ্গ বিজেপি একই ধরনের কর্মসূচি চালু করল। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নমো যুবা যোদ্ধা’। শনিবার কলকাতার এক নামী প্রেক্ষাগৃহে বিজেপি যুব মোর্চার এক অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে ছিলেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক বিপ্লব দেব, সুনীল বনসলরা। তাঁদের সকলের উপস্থিতিতেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, ‘নমো যুবা যোদ্ধা’র কাজ পরিচালনার মূল দায়িত্বে থাকবেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। লক্ষ্য একটাই, নানা ইস্যু তুলে ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার আরও জোরদার করা। এনিয়ে ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, বুথস্তরে দুর্বল সংগঠন নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় প্রচারে জোর দিলে আখেরে কি ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে লড়াই তীব্রতর হবে?