• মুখেই নারী শক্তির জয়গান, মহিলা প্রার্থী ক্রমেই কমছে এনডিএ শিবিরে
    বর্তমান | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মহিলা সংরক্ষণ বিল এনেছে বিজেপি সরকার। নারীশক্তির ক্ষমতায়ানে এক কোটি লাখপতি দিদি গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মহিলাদের নিজস্ব কোনও আয় শুরু করার জন্য প্রাথমিক লগ্নি হিসেবে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। বিহারের নির্বাচনী জনসভায় এই সব দাবি ও প্রচার করছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা। শুক্রবার প্রকাশিত এনডিএর নির্বাচনী ইস্তাহারেও বারংবার জোর দেওয়া হয়েছে নারীশক্তির জয়গানে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করে প্রথম অধিবেশনেই মহিলা সংরক্ষণ বিলকে আলোর মূখ দেখিয়েছেন বলে লাগাতার কৃতিত্ব দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ সংসদীয় ব্যবস্থায় ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে। কিন্তু বিল পাশ করানোর কৃতিত্ব নেওয়া হলেও কার্যক্ষেত্রে ভিন্ন অবস্থান দেখা যাচ্ছে সেই বিজেপি তথা এনডিএ জোটেরই। বিহার নির্বাচনে ২৪৩ আসনে যত মহিলা প্রার্থী হয়েছেন, সেটি ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর সেই হতাশজনক চিত্রে সবথেকে  গুরুত্বপূর্ণ দল বিজেপির ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণভাবে খারাপ।  বিজেপির ১০১ জন প্রার্থী তালিকায় স্থান হয়েছে মাত্র ১৩ জন মহিলার। এনডিএ জোটের মোট ২৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ৩৪ জন মহিলা প্রার্থী। নীতীশ কুমারের দলেরও মহিলা প্রার্থী ১৩ জন। তারাও ১০১ আসনে লড়াই করছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ২৩। তারা লড়াই করছে ১৪৩ আসনে। কংগ্রেস ৬০ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মহিলা প্রার্থী ৫ জন। উল্লেখযোগ্য হল, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি বিহারের রাজনীতিতে কোনও প্রভাবশালী দলই নয়। কিন্তু সবথেকে বেশি মহিলা প্রার্থী তাদেরই। ২৬ জন। এরপরের স্থান প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টির, ২৫ জন মহিলা প্রার্থী। 

    ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে ৩৭০ জন মহিলা প্রার্থী ছিল। কিন্তু জয়ী হয়েছে মাত্র ২৬ জন। বিগত ১০ বছরে তুলনামূলকভাবে দেখা যাচ্ছে এনডিএ জোটের মহিলা প্রার্থীর সংখ্যাই ক্রমেই কমেছে। সেই তুলনায় এখনও অত্যন্ত নগণ্য হলেও আরজেডির মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৫ সালে ছিল নয়। ২০২৫ সালে ২৩। অথচ বিহারের রাজনীতিতে নীতীশ কুমারের জয়ের পিছনে অন্যতম ভূমিকা‌ই হল মহিলাদের। লব-কুশ (কৈরি ও কুর্মি) ছাড়া নীতীশের কাছে মহিলাদের একটি শক্তপোক্ত ভোটব্যাংক আছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলে থাকেন। অথচ মহিলা প্রার্থী দেওয়ার প্রবণতা নীতীশ কুমারের দলের এবং বিজেপির ক্রমাগত কমেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)