• মিনি তিরুপতি মন্দিরের প্রবেশ-বাহির পথ একটাই, প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট গাফিলতি
    বর্তমান | ০২ নভেম্বর ২০২৫
  • অমরাবতী: অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে পদপিষ্টের জেরে মৃত্যুর পরই টনক নড়েছে প্রশাসনের। শনিবার কার্তিক মাসের একাদশীতে পুজো দিতে গিয়ে কেন এমন ঘটল, তা নিয়েই একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, মাস চারেক আগে তৈরি হয়েছিল এই মন্দির। এমনকি নির্মাণের কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। বর্তমানে মন্দিরে প্রবেশ ও বেরনোর পথ মাত্র একটাই। শয়ে শয়ে ভক্ত ওই ছোটো জায়গা দিয়ে বেরতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। বেসরকারি মালিকানাধীন মন্দিরের বিরুদ্ধে একাধিক গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর কথায়, ‘একাদশীতে মন্দিরগুলিতে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। যদি আগে থেকে পুলিশকে জানানো হত, তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হত। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে কিছুই জানানো হয়নি। চূড়ান্ত অব্যবস্থা ও গাফিলতির জেরেই এতগুলি মানুষের প্রাণ গিয়েছে।’ দ্রুত একটি কমিটি গঠন করে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, এই অব্যস্থার পিছনে যারা রয়েছে, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। 

    হরিমুকুন্দ পান্ডা নামে এক বৃদ্ধ নিজের জমিতে মন্দিরটি তৈরি করেছেন। তিরুমালার ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে এটি। অল্পদিনেই এলাকায় চিন্না তিরুপতি বা ‘মিনি তিরুপতি’ নামে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে মন্দিরটি। এদিন একাদশী উপলক্ষ্যে ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। আর সেটাই কাল হল। স্থানীয় প্রশাসন এনিয়ে কিছুই জানত না। অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। এমনকি ব্যাপক ভিড় দেখার পরও মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি। এনিয়ে অন্ধ্রের শাসকদলকে আক্রমণ শানিয়েছে ওয়াইএসআরকংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, সরকারের নজর এড়িয়ে কীভাবে মন্দিরটি গড়ে উঠল? কেন এতদিন মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেনি স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন। সরকারের গাছাড়া মনোভাবের জেরেই এই দুর্ঘটনা।
  • Link to this news (বর্তমান)