পাটনা: বিহারে ভোটের আবহেই তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ। বিজেপির ‘সেলেব’ প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ। এইমুহূর্তে আলিনগর বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী তথা সংগীতশিল্পী মৈথিলি ঠাকুরকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। দলের অনুরাগীদের কথায়, মাত্র ২৫ বছর বয়সে এমন চ্যালেঞ্জ নেওয়া যথেষ্ট সাহসী পদক্ষেপ। নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সহজেই ভোট বৈতরণী পার করতে পারবেন তিনি। যদিও লড়াই খুব একটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, এই লড়াই জনপ্রিয়তা বনাম অভিজ্ঞতার। কারণ ২৫ বছরের মৈথিলি ঠাকুরের বিরুদ্ধে লড়বেন ৬৩ বছরের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ তথা আরজেডি নেতা বিনোদ মিশ্রা। সবে হাতেখড়ি হয়েছে মৈথিলির। আর বিনোদ মিশ্রার কাছে এই ময়দান হাতের তালুর মতো চেনা।
মৈথিলির যোগদানের সময় ঘরের মেয়ের ‘ভিকটিম কার্ড’ কাজে লাগিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি নেতা বিনোদ তাওড়ে বলেছিলেন, ‘লালুরাজ’ আসার পর যে পরিবার বিহার ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সেই পরিবারের মেয়ে মৈথিলি এবার বিহারে ফিরছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে পালটা প্রচার শুরু করে দেয় কংগ্রেস ও আরজেডি। তাদের কথায়, এরা সবাই ভোটের মরশুমের পাখি। বিহারের মাটির সঙ্গে কোনও যোগ নেই। বিশেষজ্ঞদের কথায়, হঠাৎ বিহারে এসে এই ‘আউটসাইডার’ তকমা ঘুচিয়ে মানুষের মন জেতা বেশ কঠিন।
আলিনগরে ব্রাহ্মণ, মুসলিম ও যাদবদের ভোটব্যাঙ্ক। মৈথিলি ব্রাহ্মণ। তাই ব্রাহ্মণদের ভোট টানলেও মুসলিম ও যাদবদের মন জিততে বেগ পেতে হবে বিজেপি প্রার্থীকে। আর ঠিক এখানেই অনেকটা এগিয়ে আরজেডি প্রার্থী বিনোদ মিশ্রা। কারণ তাঁর সঙ্গে মুসলিম ও যাদবদের একটা বড় অংশের সমর্থন রয়েছে। -ফাইল চিত্র